আগরতলা, ৮ফেব্রুয়ারী: নির্বাচনী প্রচারের দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া, রাজনগর এবং সব শেষে আগরতলার বড়জলা বিধানসভা এলাকার রানীর মাঠে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করেন। সবাই মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়ষী প্রশংসা করেন রাজনাথ সিং, তিনি বললেন ডা মানিক সাহা সৎ এবং সজ্জন ব্যক্তি, রাজ্যের কল্যাণে ব্যাপক কাজ করছেন।
এদিন রাজনাথ সিং বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন রাজ্যের একাধিক জায়গায় সভা করেছেন তিনি এসভা গুলিতে মানুষের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে ২০২৩এ পঞ্চাশের বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় বসবে বিজেপি। তিনি বলেন ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩, এই ৫ বছরে রাজ্যের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। সত্যিকারের অর্থে হীরা পেয়েছে রাজ্যবাসী। এদিন তিনি বক্তব্যের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। বলেন কথা দিয়ে কথা রাখার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, একজন স্বচ্ছ ও সরল মনের মানুষ। আগামী দিনে দেশের উন্নয়নে এরাজ্যের যোগদান আরো প্রবল হয়ে উঠবে। বর্তমান সরকার মানুষের কল্যাণে ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছে। সবকটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প এরাজ্যে যথাযথভাবে কার্যকর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দিন কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপুরা সহ সমগ্র উত্তর পূর্বের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। সরকারের কাজের নিরিখে মানুষ বিজেপি সরকারকে আরও বেশি আসনে ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন।
বড়জলা বিধানসভার কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিজেপি প্রার্থী ডা দিলীপ দাসের সমর্থনে রানীর মাঠে আয়োজিত সভায় রাজনাথ সিংএর সাথে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহাও। আসামের দলীয় প্রদেশ সহ-সভাপতি, বামুটিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কৃষ্ণধন দাস, বিজেপি প্রদেশ মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য প্রমূখ। এদিন বাম কংগ্রেস জোটে বীতশ্রদ্ধ হয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতৃত্ব সুশীল রায় এবং দিলীপ কুমার ঘোষ।
এদিন আলোচনা রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বচ্ছতার সাথে সরকার চালাচ্ছে তাতে কোন ধরনের স্ক্যাম নেই। নরেন্দ্র মোদী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ত্রিপুরায় আমরাও স্ক্যাম ফ্রি সরকার চালাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরার বাম কংগ্রেস জোটকে কটাক্ষ করে বলেন বাম কংগ্রেস জোটকে ২০২৩ এর পর মাইক্রোস্কোপ দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না আর। এই জোট আমাদের পথকে মসৃণ করেছে। তিনি বলেন তারা জোট নিয়ে ব্যস্ত এবং আমরা উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত। তিপ্রা মথা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড আমরা মানছি না এবং আগামীদিনেও মানবো না। পাশাপাশি তিনি জানতে চান তাদের গ্রেটা তিপ্রা ল্যান্ডে মানচিত্র কোথায়, এখন পর্যন্ত কেন তারা মানচিত্র বের করতে পারেন। এমনকি তাদের ইস্তাহারেও এর উল্লেখ না থাকার কারণ জানতে চায় সাধারণ মানুষ বলে জানান। তিনি আরো বলেন সব দল আসবে আর যাবে কিন্তু বিজেপির পতাকা শুধু চিরস্থায়ী হয়ে উঠবে ত্রিপুরায়।
0 মন্তব্যসমূহ