Advertisement

Responsive Advertisement

বিশালগড়ে রাজনৈতিক হিংসার শিকার কর্মীদের বাড়ি পরিদর্শনে গেলেন বিজেপির প্রদেশ নেতৃত্ব

আগরতলা, ২০ ফেব্রুয়ারী: ত্রিপুরা বিধানসভার ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে গিয়েছে, গণনা এখনো বাকি রয়েছে। এরমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নির্বাচন উত্তর সন্ত্রাসের অভিযোগ আসছে। এই অভিযোগ শাসক এবং বিরোধী উভয় দলের তরফেই করা হচ্ছে। নির্বাচন উত্তর সন্ত্রাসের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে সিপাহীজলা জেলার বিশালগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। এখন প্রায় প্রতিদিনই বিশালগড়ের বিভিন্ন এলাকাতে বাড়ি করে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীরা বলে অভিযোগ।
সোমবার বিশালগড়ের সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এন সি নগর এলাকা পরিদর্শন করলেন বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে নেতৃত্বে ছিলেন প্রদেশ বিজেপি সম্পাদক জসিম উদ্দিন, ওবিসি মোর্চার সভাপতি এডভোকেট সমীর ঘোষ, দলের সিপাহী জেলার প্রভারী মৌসুমী দাসসহ অন্যান্যরা। এদিন তারা আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে যান এবং তাদের সঙ্গে কথা বলে শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। সেই সঙ্গে তাদেরকে আশ্বস্ত করে জানান, এই কঠিন সময়ে দল আক্রন্তদের পাশে রয়েছে। সব ধরনের সহায়তা করা হবে দলের তরফে।
পরিদর্শন শেষে বিজেপির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে ভোট সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভোটের পর কংগ্রেস এবং সিপিআইএম দলের কার্যকর্তারা বুঝতে পারছেন তাদের হার নিশ্চিত। এই অবস্থায় তারা আতঙ্কিত হয়ে রাজ্য জুড়ে বিজেপির নেতাকর্মীদের উপর আক্রমণ সংগঠিত করছেন। এই এলাকাতে বিজেপির এক কার্যকর্তা এবং তার পরিবারের সদস্যদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। রড লাঠি নিয়ে প্রানঘাতী আক্রমণ চালানো হয়। কংগ্রেস নেতৃত্ব বুঝতে পেরে ছিলেন যে তাদের হার নিশ্চিত তাই রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে আসেননি। একই ভাবে ত্রিপুরা রাজ্যের সিপিআইএম নেতা মানিক সরকার মানিক দেসহ অন্যান্যরা ভোটের আগেই বুঝে ছিলেন তাদের পরাজয় নিশ্চিত। তাই তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। এই পরিস্থিতিতেও দলের কর্মী সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে বিরোধীরা আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছেন। গণনার দিন বিরোধীরা কাউন্টিং এজেন্ট দিতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই ধরনের রাজনীতিকে তিনি ধিক্কার জানান।
 প্রদেশ নেতৃত্বের নির্দেশে তারা এদিন এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন। পরবর্তী সময় তারা আগরতলা ফিরে প্রদেশ সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য এবং মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করবেন বলে জন্য। পাশাপাশি রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান রাখেন শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ