আগরতলা, ৫ফেব্রুয়ারী : রবিবার সন্ধ্যায় আগরতলার ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, দলের ত্রিপুরা রাজ্যের অবজারভার জারিতা লাইফ্যারং প্রমুখ।
তাদের ২০ দফা এই ইস্তেহারে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করসহ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা ।
দুর্নীতি দমনের লোকায়ুক্ত আইনকে সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালী করা হবে, সরকারি হাসপাতালে গরীবদের জন্য বিনামূল্যে সব পরিষেবা চালু করা হবে, বিদ্যুৎ চুরি এবং সঞ্চালন ক্ষতি বন্ধের মাধ্যমে ১৫০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
দরিদ্র অংশের মানুষের স্বার্থে বিপিএল পরিবারের কন্যা সন্তানের বিবাহের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান, কন্যা সন্তানদের কেজি স্কুল থেকে পিজি বিনামূল্যে পড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে, উচ্চশিক্ষা এবং ব্যবসার জন্য যুব ক্রেডিট কার্ড চালু এবং ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদবিহীন ঋণ প্রদান। ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষদের গয়াকাশী, বৃন্দাবন মথুরা এবং শ্রী শ্রী অনুকূল চন্দ্র দেবের শিষ্যদের দেওঘরে বছরে একবার স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে তীর্থ ভ্রমণ করানো।
কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে কুইন্টাল প্রতি ২০৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫০০ টাকা করা হবে। ড্রাগস কারবারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে। রাজ্যের ১০,৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বাস্তব সম্মত সমাধানের উদ্যোগ দেওয়া হবে এবং প্রয়াত শিক্ষক পরিবারের সদস্যদের আওতায় আনা হবে। সংখ্যালঘুদের আর্থিক ও সামাজিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সুসংহত প্যাকেজ ঘোষণা হবে। বিভিন্ন দপ্তরে আগামী পাঁচ বছরে ৫০ হাজার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বন্ধন ব্যাংকসহ সকল মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানির ঋণ গ্রহিতাদের আর্থিক ক্ষতি বন্ধে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নির্দেশাবলী কার্যকর করা সুনিশ্চিত করা, রাজ্যে প্রত্যেক গরীব পরিবার বছরের ছটি সিলিন্ডারের জন্য প্রতি সিলিন্ডার পিছু ৫০০ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়া হবে। ১৪টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সুলভ মূল্যে গণ বন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে ইত্যাদি।
0 মন্তব্যসমূহ