(ডা. কনক চৌধুরী, রাজ্যের বিশিষ্ট চিকিৎসক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং লেখক)
শান্তিরবাজার হাসপাতালের কথা আগেও বলেছি।
মাতৃদুগ্ধপায়ী প্রায় সদ্যোজাত শিশুর জন্ডিস বা রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে রক্ত পালটে চিকিৎসা দেয়া ত্রিপুরায় নতুন না হলেও দক্ষিণ ত্রিপুরার শান্তিরবাজারে শুধু নতুনই নয়,চিত্তাকর্ষকও বটে !
মাত্র নয় দিনের শিশু।
সাধারণ পরিবার।
সে-ই বরপাথরি অঞ্চলের মানুষ।
মারাত্মক রোগ।
না। ৩৪ বছরের ডা.প্রসেনজিৎ দাস ও তার দল আশাহত করেননি নতুন পরিবার,নতুন পিতামাতাকে, নতুনতর প্রজন্মকে।
বড়ো হাসপাতালে রেফারের সহজ রাস্তায় হাটেননি তারা।
নিজেদের হাসপাতালকেই নিয়ে এলেন প্রদীপের আলোতে! নিজেদের কাছে যা আছে,তার সঠিক ও সর্বোত্তম ব্যবহারের আরেকটি নজির গড়লেন তারা।ডা.প্রসেনজিৎ দাস এমবিবিএস ও পিডিয়াট্রিক্স পাস করেছেন এজিএমসি,আগরতলা থেকে। একান্ত লাজুক এই তরুণ চিকিৎসক শুধু একটি ৯ দিনের শিশুকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছে তা নয়,নতুনেরা ক্রমাগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছেন...
সদিচ্ছা,সহযোগিতা,সহানুভূতি,সহমর্মিতা ও চিকিৎসাজ্ঞান যেকোনো অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।
আপনারা, প্রসেনজিৎদের মুক্তভাবে কাজ করতে দিন।
ডা.প্রসেনজিৎ ও অন্যান্য ডাক্তাররা যেনো অসুস্থ শিশুদের সামনে দাঁড়িয়ে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট এর দাপটের সাথে বলে,কিসের বাঁধা ? "There shall be no Alps!"
ফেলিয়র ইস নট এন অপশন।
কাজে একটা নেশা আসুক।
আপমর ত্রিপুরা গর্বিত আজ।
সাবাস! টিম সাউথ।
০৮/০২/২০২২,
কনক চৌধুরী,
শান্তিরবাজার,
ত্রিপুরা।
0 মন্তব্যসমূহ