আগরতলা, ১৮ ফেব্রুয়ারী: ভোট গ্রহণোত্তর সময়ে সমগ্র ত্রিপুরার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার জন্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে রাজ্যের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান। তার সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন ও পুলিশ আধিকারিক শংকর দেবনাথ সহ সিএপিএফ'র প্রতিনিধিগণ।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে জানান, এদিন রাজ্যের প্রত্যেকটি মহকুমায় মহকুমা শাসকদের সভাপতিত্বে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে শান্তি বৈঠক করা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরো বলেন, রাজ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সুরক্ষা বাহিনী রয়েছে। ভোটের দিন অর্থাৎ ১৬ ফেব্রুয়ারি ৬টি বিক্ষিপ্ত ঘটনা সংগঠিত হয়েছিল। কিন্তু ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে কোন ধরণের ঘটনাই সংগঠিত হয়নি। ভোট পরবর্তী সময়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৬টি ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এরমধ্যে গোমতী, ঊনকোটি ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ২টি করে, সিপাহীজলা জেলায় ৯টি ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই এফআইআর হয়েছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সাংবাদিক সম্মেলনে আরও জানান, ভোটের দিন ৪টার পর রাজ্যে ১,৬৮২টি পোলিং স্টেশনে ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল। প্রায় ২ লক্ষ ভোটার সে সময় ভোট দান করেন। ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৈবান্দালে সবচেয়ে বেশি রাত পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলেছিল। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর ইভিএমগুলিকে প্রার্থী এবং অবজারভারদের উপস্থিতিতে স্ট্রং রুমে সীল করে রাখা হয়েছে। স্ট্রং রুমের সুরক্ষার জন্য সিএপিএফ'র জওয়ান, টিএসআর, রাজ্য পুলিশকে নিয়ে তিনটি স্তরে সুরক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানান, প্রতিটি স্ট্রং রুমে সুরক্ষার জন্য অতিরিক্ত সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। সিসিটিভিগুলির কন্ট্রোল রুমে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণও উপস্থিত থেকে ইভিএম'র সুরক্ষার ব্যাপারটি অনুধাবন করতে পারবেন। প্রতিটি স্ট্রং রুমের সুরক্ষার কাজ দেখার জন্য টিসিএস অফিসারদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, শুক্রবার ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ডায়েরি, ফর্ম-এ, ফর্ম-সি'র স্ক্রুটিনির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও পুনঃনির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। এছাড়াও সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ আধিকারিক জনগণকে শান্তি, সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানান।
0 মন্তব্যসমূহ