আগরতলা, ২৭মার্চ ২০২৩: প্রয়াত হলেন রাজ্যের বিশিষ্ট কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং। সোমবার সকালে রাজ্যের বিশিষ্ট কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং প্রাতঃভ্রমণ কালে আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে, চিকিৎসার ন্যূনতম সুযোগ না দিয়ে প্রয়াত হয়েছেন।
এদিন প্রথমে তাকে জিবি হাসপাতাল থেকে অভয়নগর তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাই সেখান থেকে তাকে আস্তাবল ময়দানে মর্নিং ক্লাবে নিয়ে আসা হয় সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নজরুল কলাক্ষেত্রে সেখান থেকে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তার নিজ বাড়ি তৈইওয়ন্ডল রবীন্দ্রভবনে পুস্পর্ধন করবেন তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকার, সিপিআইএম বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী, তিপ্রা মথা বিধায়ক চিত্তরঞ্জন দেববর্মা সহ বিশিষ্ট শিল্পীরা
১৯৫৭সালে জন্মগ্রহণ করেন কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং।উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম বিখ্যাত কবি। তিনি রাজ্যের আদিবাসীদের ভাষা ককবরক-এ লেখেন এবং কবিতার পাঁচটি বই প্রকাশ করেছেন। "সমসাময়িক ত্রিপুরায় জনজীবনের যন্ত্রণা" তাঁর কবিতার মূল প্রতিপাদ্য।ত্রিপুরার পাহাড়, খরস্রোতা নদী এবং পাখির গানের সুরকে প্রতিস্থাপন করছেন কবিতায়। ককবরক সাহিত্যের বিকাশে অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৭ সালে সাহিত্য একাডেমি, নয়াদিল্লি থেকে ভাষাসম্মান পুরস্কার পান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর গীতাঞ্জলি র ককবরক ভাষায় স্বরলিপি তৈরি করেন কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং। ১৯৯৭ সালেই প্রতিষ্ঠা করেন ককবরক সাহিত্য একাডেমি।
সোনামুড়া মহকুমার প্রত্যন্ত গ্রাম তৈবান্দালে কৃষক পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর কবিতা প্রকৃতপক্ষে সুদূর উপজাতীয় গ্রামগুলির কান্না, ত্রিপুরার সবুজ বনানী, ঢেউ খেলানো পাহাড়,সুনিবিড় পরিবেশর এক বিশাল ভূগোলকে আলিঙ্গন করে আছে। ট্রাইবাল- বাঙালি মৈত্রী এবং জনজীবনের সংগ্রামকে তিনি তাঁর বিভিন্ন লেখালেখির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। তিনি এমন একটি ভাষার প্রতিনিধিত্ব করেন যা প্রান্তিকতার দীর্ঘ ইতিহাসের মুখোমুখি হয়েছে, ১৯৭৯সালে ককবরক ত্রিপুরার রাজ্যভাষার মর্যাদা লাভ করে।
মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। স্ত্রী, দুই পুত্র এক কন্যা এবং নাতি নাতনিদের রেখে গেছেন। ২০১৮ থেকে২০২২ পর্যন্ত তিনি ছিলেন সাহিত্য একাডেমির উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় মৌখিক সাহিত্য কেন্দ্র- NECOL এর অধিকর্তা। তাঁর প্রয়ানে আমরা শোকস্তব্ধ। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি জানাই সমবেদনা।
0 মন্তব্যসমূহ