আগরতলা, ২৬মার্চ ৩০২৩: প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশাপাশি ত্রিপুরাতেও পালিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস। আগরতলাস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়। এদিন সকালে সহকারী হাইকমিশন অফিসে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সহকারী কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
তারপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারের শাহাদতবরনকারী সদস্যবৃন্দ ও মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎস্বর্গকারী শহীদদের স্মরণে ১মিনিট নিরবতা পালন করেন উপস্থিত সকলে। জাতির পিতা, তার পরিবারের সব শহীদ সদস্যসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি প্রর্থনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। এই দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর লিখিত বাণী পাঠ করা হয়।
এদিনের এই কর্মসূচীতে সহকারি হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ'র পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন, প্রথম সচিব ও দূতাবাস প্রধান মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী, প্রথম সচিব মোঃ আল আমিনসহ অন্যান্যরা।
দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানটি সন্ধ্যার পর রাজধানীর একটি বেসরকারি হোটেলে আয়োজন করা হয়। এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের যুব ও ক্রীড়া দপ্তর, সমাজ কল্যান ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, প্রাণি সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী সুধাশু দাস, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচাৰ্য, প্লানিং বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ডা অশোক সিনহা, আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপস্থিত বক্তারা ভারত বাংলাদেশ মাতৃ সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশেষ করে ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মধ্যে আত্মিক সম্পর্কে আরো মধুর করা এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান রাখেন।
বাংলাদেশের উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে অতিথিদের নিয়ে নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ