Advertisement

Responsive Advertisement

আগরতলার আবহাওয়া অফিসের উদ্যোগে পালিত বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

আগরতলা, ২৩মার্চ: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ২৩ মার্চ দিনটিকে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস হিসেবে পালন করা হয়। অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৃহস্পতিবার আগরতলার বিমান বন্দরের আবহাওয়া অফিসেও দিনটি উদযাপন করা হয়। এদিন রাজধানীর স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তোলে ধরেন আবহাওয়া অফিসে কর্মরত আধিকারিকরা।
এদিন প্রথমে আধিকারিকরা প্রথমে তাদের কনফারেন্স হলে প্রজেক্টরের মাধ্যমে আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় যেমন বৃষ্টিপাত কুয়াশা ঝড় তুফান ইত্যাদির পূর্বাভাস কি করেন সংগ্রহ করা হয় এবং কিভাবে সজন মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পাশাপাশি সংক্রান্ত বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এরপর ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তারা বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি রাডার তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আদ্রতা ইত্যাদি পরিমাপক যন্ত্র কি করে কাজ করে তার বর্ণনা তুলে ধরেন ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে। বিশেষ করে রেডার বিশেষজ্ঞ ড. পার্থ রায় উন্নত ধরনের রাডার এর সাহায্যে কি করে এখন নিখুঁত তথ্য দিনের ২৪ ঘন্টা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করা হয় তার বিস্তারিত বিবরণ হাতে কলমে দেখিয়ে দেন। এরপর খোলা আকাশের নিচে লাগানো বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর গতি থেকে শুরু করে সূর্যের তাপমাত্রা বৃষ্টিপাত ইত্যাদি রেকর্ড করার যন্ত্র সরে জমিনের প্রত্যক্ষ করেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
 পাপিয়া ঘোষ নামে এক ছাত্রী জানান বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে তাদের স্কুল থেকে আবহাওয়া দপ্তরের অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা এতদিন বইতে যে সকল সামগ্রী গুলি দেখেছিলেন এদিন নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করলেন কিভাবে এই যন্ত্রগুলো কাজ করে এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য আমাদেরসামনে তুলে ধরা হয়।
 শ্যামলীলা দাস নামে আরো এক ছাত্রী নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, রাডার রেইনগজ ইত্যাদির যন্ত্র গুলির নাম আমরা আগে শুনেছি। কিন্তু এগুলো কিভাবে কাজ করে তা জানতাম না। আজ সরাসরি দেখতে পেয়েছি কারণ জানতে পারছি কিভাবে কাজ করছে। এসব জিনিস দেখে তারা দারুণ খুশি বলেও জানান।
আগরতলা আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা নেহুল কুলকার্নি এই দিনের তাৎপর্য বর্ণনা করতে গিয়ে জানান, বিশ্ব আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থার তরফে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালন করা হয়ে থাকে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উন্নত উন্নয়নশীল এবং দরিদ্র সব দেশের তরফে এতে অংশ নেয় এবং নিজেদের মধ্যের আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য আদান প্রদান করা হয়ে থাকে। মূলত সাধারণ মানুষদেরকে কি করে সাধারণ মানুষ আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনেক আগে থেকে দেওয়া সম্ভব হয় যাতে করে মানুষ এই তথ্যগুলো জানতে পেরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। এ বছরের এই দিবসের থিম হচ্ছে - "ফিউচার অফ ওয়েদার, ওয়াটার এন্ড ক্লাইমেট রিসোর্সেস"।
 ছাত্র-ছাত্রীদের এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার মত অর্থ হচ্ছে তারা যাতে আবহাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারে, আগ্রহ তৈরি হয় এবং আগামী দিনে আবহাওয়া সংক্রান্ত পেশাতেও তারা আসার বিষয়ে আগ্রহ দেখায়। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ