Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্যের বিদ্যুত ব্যবস্থার ব্যাপক কাজ করছে টিইসিসিএল

রুখিয়াতে ১২০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল গ্যাস টার্বাইন বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করছে টিএসইসিএল

আগরতলা, ২৭মার্চ: রুখিয়াতে একটি ১২০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল গ্যাস টার্বাইন বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র আর্থিক ও প্রযুক্তিগত দিক থেকেই বেশি উপযোগী হবে না, এই প্রকল্পটি পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনেও সক্ষম হবে। ফলে উৎপাদন খরচ কমবে এবং ভোক্তাদেরও কম খরচে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। আজ টিএসইসিএল-এর কর্পোরেট অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান, ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের এম ডি দেবাশিস সরকার। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি নিগমের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে জানান, ত্রিপুরা রাজ্যে বিদ্যুৎ নিগমের অন্তর্গত তিনটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। এগুলি হল বড়মুড়া, রুখিয়া এবং গোমতী বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের এম ডি দেবাশিস সরকার জানান, বড়মুড়া ও রুখিয়াতে গত ছয় মাস ধরে ২টি ইউনিট ও গোমতীতে একটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। তিনি জানান, বিদ্যুৎ পরিবহণের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত ১৩২ কে ভি ক্ষমতা সম্পন্ন ৭টি সাব-স্টেশন তৈরি করা হয়েছে এবং আরও ২টি সাব-স্টেশন আগামী জুন ২০২৩ এর মধ্যে চালু করা হবে। একই সঙ্গে ২৫টি নুতন ৩৩ কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন সাব-স্টেশন তৈরি করা হয়েছে এবং আরও ৯টি সাব-স্টেশন চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে চালু করা হবে। এছাড়াও ৭টি ১৩২ কেভি এবং ১৩টি ৩৩ কে ভি সাব-স্টেশনের উন্নতিকরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, ৪৫৮ কিমি ১৩২ কেভি লাইন এবং ৬৬৭ কিমি ৩৩ কেভি লাইন বসানোর কাজ চলছে। এগুলির কাজ ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের এম ডি দেবাশিস সরকার রাজ্যে বিদ্যুৎ বন্টনের বিষয়ে জানাতে গিয়ে বলেন, রাজ্যের বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হচ্ছে ত্রিপুরার প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা বনভূমি। নিগম সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যে ৩২ ও ১১ কেভি পর্যায়ে বিয়ার কনডাক্টারকে কভার কনডাক্টারে পরিবর্তন করা হবে। আগরতলা শহরের ক্ষেত্রে ১৩২ কে ভি ও ৩৩ কে ভি লাইনকে পুরোপুরি ভূগর্ভস্থ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এইচ টি এবং এল টি লাইনকে ভূগর্ভস্থ করা হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের এম ডি জানান, বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীগণ যারা সরাসরি ক্ষেত্র পর্যায়ে বিদ্যুৎ-এর কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে নিগম কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ নিগমের উদ্যোগে সচেতনতা বাড়ানো, আধিকারিক তথা কর্মীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সেফটি বেল্ট, হ্যান্ড গ্লাভস, হেলমেট, সেফটি সু, রেইন কোট ইত্যাদি বিতরণ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ চুরি আটকানোর জন্য নিগমের উদ্যোগে ভিজিল্যান্স শাখা গঠন করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভিজিল্যান্স শাখার উদ্যোগে ৬৯৯টি অভিযান করা হয়েছে। ৩ হাজার ৮২৫টি হুক লাইন কাটা হয়েছে। ৫৩ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি জানান, গ্রাহকদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল সঠিক উপায়ে সংগ্রহ করার জন্যেও বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে গ্রাহক হয়রানি, বকেয়া বিল ইত্যাদি কমানোর জন্য ডোর টু ডোর সার্ভে, সচেতনতা ইত্যাদির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফোটো বিলিং চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে যাতে সঠিক বিল আদায় করা যায়। এজন্য নুতন বিলিং এজেন্সি গঠন করা হয়েছে। স্পর্ট বিলিং চালু করা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে নিগমের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির উপর আলোকপাত করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিএসইসিএল' এর অর্থ শাখার অধিকর্তা এস এস ডোগড়া সহ নিগমের অন্যান্য আধিকারিকগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ