Advertisement

Responsive Advertisement

বর্তমান সরকারও রাজ্যের রাবার চাষ ও শিল্পকে এগিয়ে নেবে আশাবাদী চাষী ও ব্যবসায়ী মহল

আগরতলা, ১৩ মার্চ ২০২৩: ভারতের বিভিন্ন শিল্পে নানা ধরণের সামগ্রী উৎপাদনের জন্য যে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক রাবারের চাহিদার রয়েছে তার মাত্র পাঁচ শতাংশ দেশের উৎপাদিত হয়। বাকি ৯৫ শতাংশ রাবার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। মূলত এই রাবারগুলো মালয়েশিয়াসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে আমদানি করা হচ্ছে। অথচ ভারতের মধ্যে এবং বিশেষ করে এরাজ্যে আরো বিপুল পরিমাণে প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধুমাত্র রাবারকে ভিত্তি করে রাজ্যের আর্থিক অবস্থার উন্নতির সম্ভবনা প্রবল। তাই প্রথম বিজেপি সরকারের তরফে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী রাবার মিশন নামে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়ে ছিল। রাবারের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজ্যে রাবার ভিত্তিক কারখানা স্থাপনের বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয় এই প্রকল্পে। রাজ্যে রাবার চাষের সঙ্গে যুক্ত লোকজন আশাবাদী দ্বিতীয় দফার গঠিত সরকার এই প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এমনকি এখন এই কাজে আরো গতি আসবে। 
রাজ্য থেকে বাংলাদেশের রাবার রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে রাজ্যের রাবার চাষিরা আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন। আখাউড়া ও পশ্চিমবাংলার বেনাপুল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের রাবার রপ্তানি করা যায় এই জন্য ভারত সরকারের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে সে দেশের সরকারকে। এই চিঠিতে বিশেষ ভাবে বলা হয় ন্যূনতম রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে যাতে রাবার রপ্তানি করা যায় এই বিষয়টি অনুমোদন দেওয়ার জন্য। রাবার চাষী থেকে শুরু করে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা আশাবাদী এই অনুমোদন যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায় এর জন্য বর্তমান রাজ্য সরকার শুরু থেকেই তৎপতা দেখাবে। 
বর্তমানে কেরালা এবং রাজ্যে সবচেয়ে বেশী প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদিত হয়। দেশে যে পরিমাণ রাবার উৎপাদন হয় তার মধ্যে রাজ্য দ্বিতীয় স্থানের রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্য গুলিতেও রাবার চাষ শুরু হয়েছে। 
বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৮৭,০০০হেক্টর জমিতে রাবার বাগান রয়েছে। এই বাগান গুলি থেকে প্রতি বছর গড়ে ৯০,৭১২মেট্রিক টন রাবার উৎপাদিত হয়। এই চাষের সঙ্গে যুক্ত আছেন ১,১০,০০০ জন মানুষ। এদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই হচ্ছেন জনজাতি অংশের মানুষ। 
রাজ্যে উৎপাদিত তরল রাবার থেকে সিট তৈরি করা হয় এবং গুলি বর্হি:রাজ্যে রপ্তানী করা হয়। রাজ্যের উৎপাদিত রাবার রপ্তানী বাণিজ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে ১,৩৬৩জন যুক্ত রয়েছেন।  
২০১৮-১৯অর্থ বছরে রাজ্যে ৭৪,১৩৯মেট্রিক টন রাবার উৎপাদিত হয়েছে, যা থেকে আয় হয়েছে ৮৮৯কোটি টাকা। ২০১৯-২০অর্থ বছরে রাজ্য থেকে ৮৩,৭০১মেট্রিক টন রাবার উৎপাদিত করে আয় হয়েছে ১হাজার চার কোটি টাকা এবং ২০২০-২১অর্থ বছরে রাজ্য থেকে ৯০,৭১২মেট্রিকটন রাবার বিক্রি করে আয় হয়েছে ১,২৭০কোটি টাকা। 
আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যে আরও ৩০ হাজার হেক্টর জায়গাতে নতুন করে রাবার বাগান গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আবার মিশন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়ে ছিল। এই কাজের জন্য পাঁচ বছরে ৬২৪ কোটি টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। গত রাজ্যে বেশ কয়েকটি রাবার ভিত্তিক শিল্প ইউনিট স্থাপিত হয়েছে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ