Advertisement

Responsive Advertisement

নদী শুকিয়ে কাঠ তেলিয়ামুড়া শহর জুড়ে জলের হাহাকার

তেলিয়ামুড়া, ১৩ মার্চ ২০২৩: বসন্তকালের শুরুতেই বৃষ্টির অকাল। খোয়াই নদীতে জল ও নেই। অথচ খোয়াই নদীর জলের উপর নির্ভর করেই শহরবাসীদের জল চাহিদা মেটানোর জন্য শহরের উপকণ্ঠে তৈরি হয়েছিল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট খোয়াই নদীর জলে টান পড়েছে। ফলে তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের সব কয়টি ওয়ার্ডে পানীয় জলের সমস্যা তীব্রতর আকার ধারণ করেছে। জলের সমস্যা থাকার কারণে ডি.ডব্লিউ.এস দপ্তরের অধীনে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান থাকে ১০ মিনিটের বেশি জল সরবরাহ করতে পারছে না। এতে এই জলের সমস্যা পৌরবাসীদের কাছে এক নিদারুণ সংকটময় আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদ এবং স্থানীয় ডি.ডব্লিউ.এস দপ্তর যৌথ উদ্যোগে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সংলগ্ন স্থানে অর্থাৎ খোয়াই নদীতে বাঁশ দিয়ে পেলাসেটিং তৈরি করে ড্রেন করে জল আটকানোর ব্যাবস্থা করেছিল। কিন্তু বাঁইশঘড়িয়া এলাকার কতিপয় মানুষজন বারবার তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে আমরা চলে যায় তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শক কার্যালয় সংলগ্ন খোয়াই নদীর তীরে অবস্থিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে। সেখানে পাম্প অপারেটর আমাদের জানায়,,, পাঁচ মিনিট জল সরবরাহ করার পর কুড়ি মিনিট জল সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়। তার মূলত কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে খোয়াই নদীতে জলের সঙ্কট। খোয়াই নদীতে জলের বদলে রাশি রাশি বালিরচর। বিশেষ করে জলের বদলে নদীতে বালিরচর থাকার কারণে জল সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। মূলত খোয়াই নদীর নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এদিকে পাম্প অপারেটর আরো জানান,,, শহরবাসীদের চাহিদা মেটানোর জন্য তেলিয়ামুড়াতে অর্থাৎ খোদ শহরের উপকণ্ঠে দুইটি ওভারহেড জল ট্যাংক রয়েছে। আর এই দুইটি ট্যাংক জলে পরিপূর্ণ থাকলে শহর বাসীদের মধ্যে অনায়াসে জল সরবরাহ করা যেত। এই পানীয় জলের সঙ্কট তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের দুই মাস ধরে চলছে বলে তিনি জানান। 
                    অপরদিকে জল সঙ্কটের ব্যাপারে তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের পৌরপিতা রূপক সরকার জানান,,, নদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল নেই। যার ফলে পুরো এলাকায় পুরো এলাকায় জল সংকট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকট মোকাবেলা করার জন্য মোকাবেলা করার জন্য ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভার কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা এবং তেলিয়ামুড়া বিধায়িকা কল্যাণী রায় সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠক করা হবে বলে তিনি জানান।
                     তবে এখন দেখার বিষয় এই বৈঠকের মাধ্যমে পৌরবাসীদের দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জলের সঙ্কট দূরীকরণ কতটুকু কার্যকর হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ