আগরতলা, ১এপ্রিল ২০২৩: আগামী ৩ এবং ৪ এপ্রিল, ২০২৩ আগরতলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জি-২০ বিজ্ঞান সামিট। যা রাজ্যের জন্য নিশ্চয়ই গর্বের। এই সামিটকে সার্বিক সফল রূপ দেওয়ার জন্য রাজ্য প্রশাসন থেকে সমস্ত ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব অভিষেক চন্দ্রা জি-২০ বিজ্ঞান সামিটের প্রস্তুতি তুলে ধরে একথা জানান। তিনি জানান, হাঁপানিয়াস্থিত আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণের ইন্ডোর প্রদর্শনী হলে জি-২০ বিজ্ঞান সামিটের মূল অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হবে। এই সামিটের থিম হচ্ছে ‘ক্লিন এনার্জি’ ফর এ গ্রিনার ফিউচার'। সামিটে জি-২০ ভুক্ত ১৪টি দেশের প্রতিনিধি, অতিরিক্ত আরও ৯টি দেশের আমন্ত্রিত সদস্য ও দেশের কেন্দ্রীয়স্তরের প্রতিনিধি সহ ৮৫ থেকে ৯০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। জি-২০ সামিটের প্রতিনিধিগণ ২ এপ্রিল দুপুরে রাজ্যে এসে পৌঁছবেন। এদিন বিকালে প্রতিনিধিগণ এলবার্ট এক্কা পার্ক এবং কুমারীটিলা মিউজিক্যাল ফাউন্টেনটি পরিদর্শন করবেন। সন্ধ্যায় রাজ্য সরকারি অতিথিশালায় প্রতিনিধিগণের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব জানান, ৩ এপ্রিল সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণের ইন্ডোর প্রদর্শনী হলে জি-২০ বিজ্ঞান সামিটের প্রথম সেশন শুরু হবে। ঐদিন বিকালের সেশনে থাকবে প্রদর্শনী স্টলের উদ্বোধন, সাংবাদিক সম্মেলন এবং ইনভেস্টর মিট। প্রদর্শনীতে ৫৫টি স্টল থাকবে। তাতে রাজ্যের হস্ততাঁত ও হস্তকারু শিল্পের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর স্টল সহ বিভিন্ন দেশের স্টল প্রদর্শনীর জন্য থাকবে। ঐদিন সন্ধ্যায় উজ্জয়ন্ত প্রাসাদে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড প্রদর্শন এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সচিব জানান, ৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টায় অক্সিজেন পার্কে যোগা সেশনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে জি-২০ দেশের প্রতিনিধিগণ যোগায় অংশগ্রহণ করবেন। সেই লক্ষ্যে অক্সিজেন পার্কের সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে এবং জি-২০ দেশের প্রতিনিধিদের দ্বারা বৃক্ষরোপণের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এছাড়াও ঐদিন জি-২০ দেশের প্রতিনিধিগণ পূর্বাশা, সিপাহীজলা অভয়ারণ্য এবং নীরমহল পরিদর্শনে যাবেন। সেই লক্ষ্যে ঐ স্থানগুলির সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের মাধ্যমে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব অভিষেক চন্দ্রা জানান, জি-২০ দেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাতে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি রূপায়ণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে এলবার্ট এক্কা পার্কে শচীন দেববর্মণের মূর্তি স্থাপন, কুমারীটিলায় মিউজিক্যাল ফাউন্টেন স্থাপন, উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ ও নীরমহলের সৌন্দর্যায়ন এবং লাইট অ্যান্ড সাউন্ড স্থাপন এবং সিপাহীজলা অভয়ারণ্যের রাস্তা ও ফুটপাতের উন্নয়ন করা হয়েছে। এছাড়াও শহরের ৪টি স্থানে জি-২০ লোগো সম্বলিত বড় বেলুনও স্থাপন করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং।
0 মন্তব্যসমূহ