আগরতলা, ২৫এপ্রিল: শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আড়াই লক্ষ শরণার্থীর অভিভাবক রাজ্যের প্রথম পদ্মশ্রী প্রাপক হিমাংশু চৌধুরী। মঙ্গলবার আগরতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২বছর। বার্ধক্য জনিত অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা বর্তমানে দিল্লি রয়েছেন, তার প্রয়াণের খবর শুনে দিল্লী থেকে গভীর শোক জানিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকও শ্রদ্ধা জানান। মৃত্যুর খবর পেয়ে আগরতলার বড়দোয়ালী এলাকার তার বাসভবনে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় সহ বহু ব্যক্তিবর্গ।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি ত্রিপুরা সোনামুড়া মহকুমার মহকুমা শাসকের দায়িত্বে ছিলেন। যুদ্ধ শুরু হলে কাতারে কাতারে শরণার্থীরা সোনামুড়া সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় গ্রহণ করে। একসময় এই শরণার্থীর সংখ্যা আড়াই লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। তিনি তখন ত্রাতার ভূমিকা পালন করেন। সকলের থাকা, খাওয়া সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা করেন। একজন সিভিল সার্ভিস অফিসারের এই মানব দরদী ভূমিকায় প্রশংসার প্রশংসা করেন ভারত এবং বাংলাদেশের মানুষ।
0 মন্তব্যসমূহ