Advertisement

Responsive Advertisement

স্বেচ্ছা রক্তদান হল সমাজের সমস্ত দানের উর্দ্ধে : মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা, ১৩এপ্রিল: স্বেচ্ছা রক্তদান হল মানব ধর্মের এক বিশেষ দিক। সমাজের প্রত্যেককেই এই মানবধর্ম পালন করা উচিত। তবেই এক সুন্দর ও উন্নত সমাজ গঠন করা সম্ভব হবে। আজ হাপানিয়াস্থিত ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে আয়োজিত এক স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রক্তদানের মতো মহৎ দান আর কিছু নেই। স্বেচ্ছা রক্তদান হল সমাজের সমস্ত দানের উর্দ্ধে। সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোতে রক্তের সংকট দেখা দিয়েছিল। নির্বাচনের পরে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সহ প্রত্যেককে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছিল। প্রত্যেকেই রাজ্য সরকারের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে।

রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কারোর প্রতি কোনও ধরণের বিদ্বেষমূলক মনোভাব নিয়ে সরকার কাজ করে না। বর্তমান সরকার রাজ্যে কোনও ধরণের সন্ত্রাস বরদাস্ত করবে না। গণতন্ত্রকে ব্যবহার করে কেউ অনৈতিক কাজ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার ফলে যোগাযোগ, শিল্প সহ প্রতিটি বিষয়ে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলেই বর্তমানে ১২টি এক্সপ্রেস ট্রেন রাজ্য থেকে চলাচল করছে। রাজ্য সরকারের সদর্থক প্রচেষ্টার ফলে রাজ্যে শিল্প স্থাপনের পরিবেশ তৈরী হওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজ্য সরকার রাজ্যে শিল্পের উন্নতিতে বাঁশ, রাবার ও আগর ভিত্তিক শিল্প স্থাপনে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। বর্তমানে বহিরাজ্যের অনেক বিনিয়োগকারীও রাজ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হওয়ার ফলে ত্রিপুরা আগামীদিনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বারে পরিণত হবে। ফলে ত্রিপুরার সামগ্রিক চেহারাই পাল্টে যাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের নানা সমস্যা দূরীকরণেও সরকার আন্তরিক। এই কলেজের উন্নতিকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। চিকিৎসক সহ সকলস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীদের মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সোসাইটি ফর ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান ডাঃ প্রমথেশ রায়, ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের মেডিক্যাল সুপার প্রফেসর ডাঃ জয়ন্ত কুমার পোদ্দার, অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ অরিন্দম দত্ত এবং মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক স্বপন সাহা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ