Advertisement

Responsive Advertisement

বিমান বন্দরে কার্গো পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে : পরিবহণ মন্ত্রী

আগরতলা, ২৮ এপ্রিল : মহারাজা বীরবিক্রম বিমানবন্দরে কার্গো পরিষেবা আজ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে। এমবিবি বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানে পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী নবনির্মিত কার্গো ভবনের উদ্বোধন করেন। ১ হাজার ২৭২ স্কোয়ার মিটার আয়তন বিশিষ্ট এই কার্গো ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৭ কোটি টাকা। আশা করা হচ্ছে প্রতি বছর এর মাধ্যমে মোট ৪০ হাজার ১৫০ মেট্রিকটন পণ্য পরিবহণ করা সম্ভব হবে। যা পূর্বের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি। প্রাথমিকভাবে ইন্ডিগো এই পরিষেবা প্রদানের সাথে যুক্ত হয়েছে।
কার্গো ভবনের উদ্বোধন করে পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিমানবন্দরের বিভিন্ন পরিষেবা দ্রুত শুরু করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যেই আজ থেকে কার্গো পরিষেবা, বিমানবন্দরে প্রিপেইড অটো পরিষেবা প্রদান শুরু হয়েছে। তিনি ইন্ডিগো বিমান সংস্থার আধিকারিকদের এই পরিষেবা প্রদানে যুক্ত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন অচিরেই অন্যান্য বিমান সংস্থাগুলিও এই পরিষেবা প্রদানে এগিয়ে আসবে। তিনি আরও বলেন, এই কার্গো পরিষেবা বন্ধ থাকার ফলে রাজ্যের ব্যবসায়ীদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তিনি আশা করেন পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে।
অনুষ্ঠানে পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার তিনদিকে রয়েছে প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশ। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম থেকেই এই রাজ্যের বিমান ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জোর দিয়েছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি আরও জানান, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগরতলা-চিটাগাং আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। পরবর্তীতে আগরতলা থেকে সরাসরি সিঙ্গাপুর, ব্যাঙ্কক, ইত্যাদি শহরের সাথেও বিমান পরিষেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, পুরানো বিমানবন্দর প্রাঙ্গণ থেকে মহারাজার মূর্তিটিকে স্থানান্তরিত করা সম্ভব না হওয়ায় নতুন বিমানবন্দরে মহারাজা বীরবিক্রমের একটি নতুন ব্রোঞ্জের মূর্তি বসানো হবে। এরজন্য ব্যয় হবে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার রাজ্যের জনগণের স্বার্থে উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা মানিক সাহার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রাজ্য উন্নয়নে পথে এগিয়ে চলছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবহণ দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা, এয়ারপোর্ট অথরিটির অধিকর্তা কে সি মিনা। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, পরিবহণ দপ্তরের কমিশনার সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ। উল্লেখ্য, নতুন এই ভবনে পচনশীল এবং অপচনশীল পণ্য, বিপদজনক পণ্যের জন্য কোল্ড স্টোরেজের সুবিধা রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ