আগরতলা, ৫ এপ্রিল: রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরে প্রচুর সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করা হবে। এক কথা জানিয়েছেন দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ নিজেই জানিয়েছেন। বুধবার রাজধানী আগরতলার মুক্ত ধারা অডিটোরিয়ামে কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের এক পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের পৌরহিত করেন মন্ত্রী নিজে। উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় থেকে শুরু করে ডিরেক্টর ডেপুটি ডিরেক্টরসহ অন্যান্য আধিকারিকরা। আগরতলার পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকেই পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ভি এল ডাবলু পদে ৪৬৪জনকে নতুন করে নিয়োগ করা হবে। এল ডি সি ক্লার্ক পদে ৩০জন, গ্ৰুপ ডি পদে ৮৭জন রাজ্য সরকারের জয়েন্ট রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের কাছে ইতিমধ্যে এই তালিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৬০জন এগ্রি অফিসার ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হবে। গত অর্থবছরে শুধুমাত্র কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২৬৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এদিন। এছাড়াও অসংখ্য ছোট ছোট উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। এবছর ৭৮কোটি টাকা খরচ করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ১৮টি এগ্রি মার্কেট গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
ধান সহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনেও যাতে রাজ্য স্বয়ংসুম্পূর্ণ হতে পারে এদিকেও সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। রাজ্যের উৎপাদিত অনারসসহ অন্যান্য ফসল অন্যান্য রাজ্যে এমন কি বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে এর ফলে বিদেশি মুদ্রার আমদানি হচ্ছে। রাজ্যের উৎপাদিত বেবি কর্ন অন্যরাজ্য এমনকি বিদেশের বড় বড় হোটেলে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই রাজ্য সরকার চিরাচরিত ফল সবজির পাশাপাশি নতুন নতুন ধরনের ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে। সম্পূর্ণ নতুন ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যাতে উৎপাদন করা যায় তার জন্য ড্রোনের মত অত্যাধুনিক পদ্ধতিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। দেশের মধ্যে একমাত্র রাজ্যে প্রতিটি মহকুমার একটি করে কৃষক বন্ধু কেন্দ্র। মহকুমার বাইরেও বহু জায়গায় রয়েছে। গত পাঁচ বছরে রাজ্যে ৩২টি কৃষক বন্ধু কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। একটা সময় ছিল যখন চাষীরা মাঠের ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল, কিন্তু বর্তমান সরকার সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করার পর আবার নতুন করে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। পাম তেলের বীজ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রাজ্যের কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করা বলেও জানিয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ