আগরতলা, ২৯ এপ্রিল: মিলেট বা বাজরা চাষ খুবই লাভজনক ও উৎকৃষ্ট খাদ্য। বাজরাতে পুষ্টিগুণও বেশী। বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে। আমাদের রাজ্যের কৃষকরা সাধারণত ধান, গম ও সব্জি চাষে বেশী উৎসাহী। পুষ্টিগুণের কথা বিবেচনা করে কৃষকদের বাজরা চাষে উৎসাহিত করতে হবে। আজ লেম্বুছড়াস্থিত ত্রিপুরা কৃষি মহাবিদ্যালয়ে আবহাওয়ার স্থিতিস্থাপকতা ও কৃষি সুস্থায়ী উন্নয়নের জন্য বাজরা উৎপাদন প্রযুক্তির ব্যবহার-২০২৩ শীর্ষক জাতীয়স্তরের এক আলোচনাচক্রে প্রধান অতিথির ভাষণে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। আলোচনাচক্রে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাজরা দিয়ে অনেক ধরণের খাদ্যসামগ্রী তৈরী হয়। বাজরা দিয়ে বিস্কুট, মাল্টি গ্রেন্ড আটা এবং মিষ্টিও তৈরী করা হয়। কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাজ্যেও আগামী দিনে বাজরা চাষকে জনপ্রিয় করতে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর উদ্যোগ নেবে। এই জাতীয় আলোচনাচক্রটি ত্রিপুরা কৃষি মহাবিদ্যালয়ের উদ্যোগে এবং নাবার্ড ও আইসিআর, হায়দ্রাবাদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাচক্রে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিতে আমাদের স্বনির্ভর হতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনে কৃষকদের অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। কৃষির বিকাশ হলেই এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে উঠবে। কৃষিমন্ত্রী রাজ্যে এধরণের একটি জাতীয় আলোচনাচক্রের আয়োজন করার জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান। এই জাতীয় আলোচনাচক্রে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ২০ জন কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নিয়েছেন। আলোচনাচক্রে কৃষি বিজ্ঞানীগণ মিলেট বা বাজরা চাষের উপর মূল্যবান আলোচনা করেন। আলোচনাচক্রে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গঙ্গাপ্রসাদ প্রসেইন, নাবার্ডের জেনারেল ম্যানেজার লোকেন দাস, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা কৃষি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. টি কে মাইতি। অনুষ্ঠানে অতিথিগণ জাতীয় আলোচনাচক্র উপলক্ষে প্রকাশিত দুটি স্মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন।
0 মন্তব্যসমূহ