Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্যের ঐতিহ্যময় মিশ্র সংস্কৃতির বহমান ধারায় বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য পরিলক্ষিত হয় : মুখ্যমন্ত্রী

 আগরতলা, ১৩এপ্রিল : রাজ্য সরকার চায় রাজ্যের সব অংশের মানুষের মধ্যে ঐক্য, সংহতি আরও সুদৃঢ় ও শক্তিশালী হোক। মেলা এবং মেলবন্ধনের মাধ্যমে এই ঐক্য আরও বলিষ্ঠ হয়। রাজ্যের বর্তমান সরকার জাতি জনজাতির ঐক্য সুদৃঢ় করতে এবং তাদের সার্বিক উন্নতিকরণে বদ্ধপরিকর। আজ আগরতলা স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে রাজ্যভিত্তিক ৪৯তম বিজু মেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, চাকমা জনজাতিগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় এবং ঐতিহ্যবাহী উৎসব হল বিজু। বিজু উৎসব মূলত পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব। এটা একটা বিরাট সাফল্য যে, এত বড় অনুষ্ঠান আজ আগরতলায় অনুষ্ঠিত হতে চলছে। রাজ্য সরকারও চাকমা ঊনজাতি গোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশে আন্তরিক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ঐতিহ্যময় মিশ্র সংস্কৃতির বহমান ধারায় বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য পরিলক্ষিত হয়।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বর্তমান কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের বর্তমান সরকার দেশের এবং রাজ্যের মধ্যে এই ঐক্য রক্ষায় সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ত্রিপুরা রাজ্যে ১৯টি জনজাতিগোষ্ঠী রয়েছে। সরকার প্রত্যেকটি জনজাতির গোষ্ঠীর উন্নয়নে কর্মসূচি রূপায়িত করে চলেছে। তিনি বলেন, জনজাতিদের রিসাকে সরকারের প্রচেষ্টায় বিশ্বজনীন মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আগরতলা বিমানবন্দরের নাম আধুনিক ত্রিপুরার রূপকার মহারাজা বীরবিক্রম মানিক্যের নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আগরতলা শহরের জিরো পয়েন্ট কামানচৌমুহনীতে মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্যের মর্মর মূর্তি বসানো হয়েছে। রাজ্যের জনজাতি অধ্যুষিত ১২টি ব্লককে অ্যাসপিরেশনাল ব্লক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে জনজাতি জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে। জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার উন্নয়নের জন্য বোর্ডং হাউস স্টাইপেন্ড বাড়ানো হয়েছে। রাজ্যের বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় ৪টি একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল চালু করা হয়েছে। আরও ১৬টি একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল স্থাপন করা হবে। জনজাতিদের কৃষ্টি সংস্কৃতির বিকাশে লেম্বুছড়াতে ট্রাইবেল রিসার্চ এন্ড কালচারাল ইনস্টিটিউট নামে একটি মিউজিয়াম চালু করা হবে। অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা বলেন, তিনদিনব্যাপী এই মেলার মাধ্যমে চাকমা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন রীতিনীতি তুলে ধরা হবে। তিনি সবাইকে শান্তি শৃঙ্খলা মেনে মেলা উপভোগ করার আহ্বান জানান। তিনি মেলার সার্বিক সফলতা কামনা করেন। এছাড়াও স্বাগত বক্তব্য রাখেন ৪৯তম রাজ্যভিত্তিক বিজু মেলা কমিটির সভাপতি তুষার কান্তি চাকমা। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বরিষ্ট সাংবাদিক স্রোত রঞ্জন খিসা, বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা। উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ও সমাহতা দেবপ্রিয় বর্ধন প্রমুখ। ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা রাজ্য চাকমা সামাজিক পরিষদের রাজ্য প্রধান দেবজান চাকমা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ