Advertisement

Responsive Advertisement

পর্যটন শিল্পের বিকাশ হলে রাজ্যের মানুষের আর্থসামাজিক মানের উন্নয়ন ঘটবে : মুখ্যমন্ত্রী


মেলাঘর, ১এপ্রিল: জি-২০ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জি-২০ ভুক্ত দেশের প্রতিনিধিগণ প্রথমে দেশের কিছু নির্দিষ্ট স্থানে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সিদ্ধান্তে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেও হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন। আমাদের ত্রিপুরায় হচ্ছে জি-২০ বিজ্ঞান সম্মেলন। এ উপলক্ষে আমাদের রাজ্যেও বিদেশের প্রতিনিধিগণ আসছেন। বিদেশের প্রতিনিধিদের কাছে রাজ্যের সুনাম তুলে ধরার জন্য রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। আজ নীরমহলে লেজার লাইট ও সাউন্ড শোর উদ্বোধন করে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের আমলে এই নীরমহল নির্মাণ করা হয়েছিল। আধুনিক ত্রিপুরার রূপকার মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্যকে সম্মান জানাতে গতকাল আগরতলা শহরের কামান চৌমুহনির নিকটে যে আইল্যান্ড ছিল সেখানে মহারাজার আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়েছে এবং এই আইল্যান্ডের নাম দেওয়া হয়েছে মহারাজা বীর বিক্রম চৌমুহনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতি জনজাতি একসাথে মিলে মিশে থাকতে চাই। নীরমহল পর্যটন কেন্দ্রকে জি-২০ সম্মেলনের মাধ্যমে সারা পৃথিবী জানতে পারবে। রাজ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে বিশ্বের পর্যটকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে স্টল খোলা হয়েছে। এই সমস্ত স্টলগুলিতে জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে আগত প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরার জন্য রাজ্যের বাঁশ বেত শিল্পের সামগ্রী ও অন্যান্য ঐতিহ্যময় সামগ্রীগুলি রাখা হবে। যাতে রাজ্যের এই সামগ্রীগুলি বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিতি পেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে যে সমস্ত পর্যটকরা যান তাদের নিরাপত্তার জন্য রাজ্যে পর্যটন পুলিশের ব্যবস্থা রাখার জন্য আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়গুলি ট্যুরিস্ট পুলিশ দেখাশোনা করবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় ট্যুরিস্ট গাইড রাখারও ব্যবস্থা করা হবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ হলে রাজ্যের মানুষের আর্থসামাজিক মানের উন্নয়ন ঘটবে। আজ নীরমহলে লেজার লাইট ও সাউন্ড শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা, সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিধায়ক কিশোর বর্মণ, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, মেলাঘর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন অনামিকা ঘোষ পাল রায়, মুখ্যমন্ত্রী পত্নী স্বপ্না সাহা প্রমুখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ