আগরতলা, ২৪ এপ্রিল: আশ্বাস দেওয়ার মাত্র ৪ দিনের মাথায় কথা রাখলেন রাজ্যের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। কৃষি এবং কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বারের মতো ২০ এপ্রিল তিনি নাগিছড়া এলাকার উদ্যান এবং বাগিচা ফল গবেষণা কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের মজুরি কথা শুনে কিছুটা অবাক হন, তখন তিনি তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন তাদের মজুরি দুটির বিষয়ে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এই অনুসারে সোমবার শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির কথা ঘোষণা দিলেন।
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধীনে নিযুক্ত সারা রাজ্যের সমস্ত সিজন্যাল লেবারদের দৈনিক মজুরি এখন থেকে ৩৮৫ টাকা করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা জানান। তিনি জানান, সারা রাজ্যে কৃষি ও উদ্যানপালন দপ্তর মিলিয়ে মোট ১৩২১ জন সিজন্যাল লেবার রয়েছে। কৃষি দপ্তরের অধীনে রয়েছে ৭১৫ জন এবং উদ্যানপালন দপ্তরের অধীনে রয়েছে ৬০৬ জন শ্রমিক। তারা সবাই এখন থেকে দৈনিক ৩৮৫ টাকা মজুরি পাবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকরি করা হয়েছে গত ১ এপ্রিল ২০২৩ থেকে। কৃষিমন্ত্রী জানান, গত ২০ এপ্রিল তিনি নাগিছড়াস্থিত উদ্যানপালন গবেষণা কমপ্লেক্সটি পরিদর্শন করেন এবং সিজন্যাল শ্রমিকদের মজুরি সম্পর্কে অবগত হন এবং অনুধাবন করেন তাদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে। এই মজুরি বাড়ানোর ফলে শ্রমজীবী সম্প্রদায়ের মানুষ অনেক উপকৃত হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বর্তমানে রাজ্যে খাদ্যশস্যের মোট চাহিদা ৯ লক্ষ ৩৭ হাজার মেট্রিকটন। খাদ্যশস্যের উৎপাদন রয়েছে ৮ লক্ষ ৭১ হাজার মেট্রিকটন। তিনি জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উৎপাদন ছিল ৮ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিকটন। তিনি আরও জানান, গত পাঁচ বছরে তেঁতুল, বেল, কাঁঠাল, আদা, পান পাতা, লেবু ইত্যাদি বিভিন্ন কৃষি উৎপাদিত ফল বহিরাজ্যে এবং বহির্বিশ্বে দপ্তরের উদ্যোগে রপ্তানি করা হয়েছে। এতে ১৮ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ