Advertisement

Responsive Advertisement

পর্যটনকে বিকল্প অর্থনীতির উৎস হিসেবে তুলে ধরার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার : পর্যটনমন্ত্রী

আগরতলা, ২৫ এপ্রিল: রাজ্যে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমকে জনপ্রিয় করতে জম্পুইহিল, ডম্বুর জলাশয় ও ছবিমুড়ায় একাধিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে প্যারামোটোরিং, প্যারাগ্লাইডিং, হট এয়ার বেলুন, রক ক্লাইম্বিং, রেপিলিং, বর্মা ব্রিজ, ক্যায়াকিং, জিপ লাইন ও ওয়াটার স্পোর্টস। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এ সংবাদ জানান। সাংবাদিক সম্মলনে পর্যটন দপ্তরের অগ্রগতি ও সাফল্য তুলে ধরে পর্যটনমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার পর্যটনকে রাজ্যের বিকল্প অর্থনীতির উৎস হিসেবে তুলে ধরার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে ত্রিপুরাকে একটি বিশ্বমানের পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে তুলে ধরার লক্ষ্যে পর্যটন দপ্তর বহুমুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পর্যটনের বিকাশে রাজ্যের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলিকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটনমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে আগরতলা, সিপাহীজলা, মেলাঘর, উদয়পুর, অমরপুর, মন্দিরঘাট, তীর্থমুখ, নারকেলকুঞ্জ, ডম্বুর, আমবাসা, বড়মুড়া ইত্যাদি ১১টি পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন মন্ত্রক স্বদেশ দর্শন-১ প্রকল্পে ৮২ কোটি ৮৪ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা মঞ্জুর করেছে। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ৭৩ কোটি ৭৪ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে এবং কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯৭ শতাংশ। এছাড়া স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন মন্ত্রক ৫০ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কমলপুরের সুরমা ছড়া ওয়াটার ফলস, জোলাইবাড়ির আভাংছড়াস্থিত শহীদ ধনঞ্জয় স্মৃতি উদ্যান, বিলোনীয়ার চোত্তাখলায় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান, নীরমহল, বক্সনগরস্থিত বৌদ্ধস্তুপ, জম্পুইহিল ইত্যাদি পর্যটন স্থানগুলিকে নতুন কলেবরে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরার লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

পর্যটনমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রসাদ প্রকল্পে রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র উদয়পুরের “মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরকে' বহুমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরকে একটি আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এবং দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন মন্ত্রক ‘প্রসাদ' প্রকল্পে ৩৭ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ