Advertisement

Responsive Advertisement

খাদ্য শস্য উৎপাদনে রাজ্যকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে : কৃষি ও কৃষক কল্যান দপ্তর

আগরতলা : রাজ্যের বর্তমানে খাদ্য শস্যের চাহিদা ৯লক্ষ ৩৭হাজার মেট্রিক টন। রাজ্যে উৎপাদিত হচ্ছে ৮লক্ষ ৭১হাজার মেট্রিক টন। ২০১৭-১৮উৎপাদন হতো ৮লক্ষ ৫০হাজার মেট্রিক টন। গত ৫ বছরে রাজ্যের খাদ্যশস্যের উৎপাদন ২১হাজার মেট্রিক টন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। রাজ্যের চালের চাহিদা রয়েছে ৮লক্ষ ৬২ হাজার মেট্রিক টন, উৎপাদন হচ্ছে ৮লক্ষ ১৪ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে রাজ্যে যে ৫১ হাজার মেট্রিক টন চালের ঘাটতি রয়েছে এগুলো বহিরাজ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। সম্প্রতি মহাকরণের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
 মন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৭-১৮অর্থবছরে রাজ্যে চালের উৎপাদন ছিল ৮ লক্ষ ৯ হাজার মেট্রিক টন। গত পাঁচ বছরে রাজ্যের ৫হাজার মেট্রিক টন বেশি চাল উৎপাদিত হচ্ছে। রাজ্যের সর্বমোট চাষের জমির ২ লক্ষ ৫৫ হাজার হেক্টর। রাজ্যের মোট জমির মাত্র ২৪ শতাংশ কৃষিজমি। রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তর আরো বেশি করে অন্যান্য ফল সবজি চাষের দিকে ঝুঁকছে। রাজ্য থেকে আনারস এবং কাঁঠালের পাশাপাশি তেতুল বেল ইত্যাদি ফল রপ্তানি করা হচ্ছে। গত পাঁচ বছরের রাজ্য থেকে ১,৭৯৯ মেট্রিক টন বেল বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। তেঁতুল রপ্তানি করা হয়েছে ২৩৫ মেট্রিক টন। পান পাতা রপ্তানি করা হয়েছে ১৯ মেট্রিক টন। আধার রপ্তানি করা হয়েছে ৬০২ মেট্রিক টন। আনারস বহিরাজ এবং বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে ১০,০৮৭ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ছিল কাতার দুবাই এবং বাংলাদেশ। কাঁঠাল রপ্তানি করা হয়েছে পাঁচ মেট্রিক টন। সুগন্ধি সাতকরা লেবু রপ্তানি করা হয়েছে সাত মেট্রিক টন। এইসব পণ্য সামগ্রী রপ্তানি করে রাজ্যের আয় হয়েছে ১৮ কোটি টাকা।
 সেই সঙ্গে মন্ত্রী জানিয়েছেন প্রথাগত দানাশস্য এবং ফলমূল চাষের পাশাপাশি নতুন নতুন কৃষিজাত দ্রব্য চাষের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে, যাতে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হন সেদিকে দপ্তরগুরুত্ব দিচ্ছে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ