Advertisement

Responsive Advertisement

২০২২-২৩ অর্থবছরে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবসা হয়েছে ১১,২৭১.৯২কোটি টাকা

আগরতলা, ২৫ মে : ২০২২-২৩ অর্থবছরে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.০৪শতাংশ, আর্থিক হিসেবে তা ৭৪১.১৪কোটি টাকা বেশী। যা এই ব্যাংকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই অর্থ বছরে ব্যাংক'র ব্যবসা হয়েছে ১১,২৭১.৯২কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। একথা জানিয়েছেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্র সিংহ।
 বৃহস্পতিবার রাজধানী আগরতলার অভয়নগর এলাকার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এক সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ব্যাংকের চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্র সিংহ ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বার্ষিক হিসাব তোলে ধরেন। শুরুতে তিনি ব্যাংকের ইতিহাসের দিকে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন ২১ডিসেম্বব ১৯৭৬সালে ভারত সরকারের ৫০শতাংশ শেয়ার, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ৩৫শতাংশ শেয়ার এবং ত্রিপুরা সরকারের ১৫শতাংশ শেয়ার নিয়ে ব্যাংক যাত্রা শুরু করে। গ্রামীণ কৃষক, কারিগর এবং আর্থিক ভাবে দুর্বল অংশগুলিকে সহায়তা করার লক্ষ্যে নিয়ে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া গাইড লাইন অনুসারে আগরতলা, বিশ্রামগঞ্জ, বিশালগড় এবং জোলাইবাড়ি এলাকায় মাত্র চারটি শাখা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ১৯৭৬সালে শুরু বছর ব্যাংক মোট ৪.৫২লাখ টাকার ব্যবসা করে। বর্তমানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পাশাপাশি তিনটি আঞ্চলিক অফিস, ১৪৮টি শাখা এবং ১৫টি ক্ষুদ্র শাখা রয়েছে।
এখন ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৯-২০ অর্থ বছরের মোট ব্যবসা হয়েছে ৯,৯৩৬.১৪কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের মোট ব্যবসা হয়েছে ১০,২৭৩.৭১কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩.৪০শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থ বছরে মোট ব্যবসা হয়েছে ১০,৫৩০.৭৯কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২.৫১শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যবসা হয়েছে ১১,২৭১.৯২কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির হার ৭.০৪ শতাংশ। বর্তমানে ব্যাংকের এটিএম রয়েছে মোট ৩৩টি। এর মধ্যে ২৫টি রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামীন এলাকায়, ৪টি শহরতলী এবং ৪টি শহর এলাকায়।
 ব্যাংকে আমানতের হার বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৩.৯৪শতাংশ। ২০২২ সালের ৩১মার্চ পর্যন্ত আমানত হয়েছিল ৭,৭১৮.৩৪কোটি টাকা, সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৮,০২২.৫৬শতাংশ।
বছরের ভিত্তিতে অগ্রিমের হার ১৫.৫৪শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত ছিল ২,৮১২.৪৩ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩,২৪৯.৩৬কোটি টাকা।
২০২৩সালের ৩১মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকের সি ডি অনুপাত ৩৬.৪৪শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪০.৫০শতাংশ। বিভিন্ন বীমা সংস্থার সঙ্গে বীমা বিক্রির মাধ্যমে ব্যাংক এই সময় বাড়তি আয় করেছে ৪.৭২কোটি টাকা। আগের বছরের সুদের আয় হয়েছে ছিল ৩৯৮.৩২ কোটি টাকা। এবছর প্রায় ৪০৪.১৯কোটি টাকা আয় হয়েছে। শতকরা হিসেবে ১.৪৭শতাংশ। এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকের লাভ হয়েছে ২৩.৬২কোটি টাকা। ২০২২ ২৩ অর্থ বছরে ব্যাংক পেনশন তহবিলে প্রায় ৯৮ কোটি টাকা প্রদান করেছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাঙ্ক বিভিন্ন ঋণ প্রকল্পের অধীনে ১,২৩৫.৫৭ কোটি টাকা প্রদান করেছে। 
 ব্যাংকের অনাদায়ী(এন পি এ) সম্পত্তির পরিমাণ ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ছিল ১৯০.৬২ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত তা কমিয়ে ১৬৫.৬২ কোটি টাকায়। এনপিএ কমেছে ২৫ কোটি টাকা৷ ব্যাঙ্কের এন পি এ-র হার মাত্র ১.৪৪শতাংশ।
 ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রতি শাখায় গড়ে ব্যবসা ৭৬.১৬ কোটি টাকা বেড়েছে, যা ২০২২ সালের ৩১ মার্চ মাস পর্যন্ত ছিল৭১.১৫ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত কর্মচারি কিছু ব্যবসা ছিল ১২.৫৮কোটি টাকা, তা ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ১২.৮৫ কোটি টাকা। 
এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যাংকের অন্যান্য আধিকারিকরাও চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ