Advertisement

Responsive Advertisement

আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র দিবসের অনুষ্ঠানে গ্রীন জার্নালিস্ট এওয়ার্ড প্রদান করা হল

আগরতলা, ২২মে ২০২৩: ত্রিপুরা বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের তরফে ২০২৩ সালের গ্রীন জার্নালিস্ট এওয়ার্ড দেওয়া হয়। এবারও এই এওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সুদীপ চন্দ্র নাথ। এর আগেও আরো দুই বার তিনি এই এওয়ার্ড পেয়েছেন।
প্রতি বছর ২২মে দিনটিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সোমবার আগরতলাতেও পালন করা হয় দিনটি। এই রাজধানীর গান্ধীগ্রাম এলাকার বন দপ্তরের প্রকৃতি ভবনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, রাজ্য সরকারের বন দপ্তরের পিসিসিএফ কে এস শেঠি, চিফ এক্সিটিভ অফিসার ড. এ এম কানফাদে, বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের ত্রিপুরা বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের সদস্য সচিব প্রবীণ আগওয়াল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা "ত্রিপুরা রাজ্যের মাছ বৈচিত্র্য" শীর্ষক একটি ই বইয়ের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। পাশাপাশি "ত্রিপুরার গাছপালা" এবং "ত্রিপুরার পাখি" শীর্ষক দুটি পোস্টারের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করেন।
এরপর সাংবাদিক সুদীপ চন্দ্র নাথ এবং সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্যকে গ্রীন জার্নালি এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। মুখ্য সচিব জে কে সিনহা তাদের হাতে এই সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। পাশাপাশি বায়োডাইভারসিটি বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত পোস্টার, স্লোগান ইত্যাদির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী এবং বিজয়ী বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্য সচিব জে কে সিনহা বলেন, ত্রিপুরা রাজ্য জীববৈচিত্রের প্রাচুর্যে ভরপুর। এগুলোকে রক্ষা করার জন্য বনদপ্তর অনেক কাজ করছে। এই কাজে দপ্তরের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সচেতনতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যম বড় ভূমিকা রাখে। তাই সাংবাদিকদের প্রতি আহবান রাখেন তারা যেন আরও বেশি করে পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র সংক্রান্ত খবর তুলে ধরেন যাতে করে মানুষ আরো বেশি করে সচেতন হোন পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে বনদপ্তর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পার্ক গড়ে তুলতে মানুষের বিনোদনের জন্য এগুলোতে গিয়ে যেমন বিনোদন হয়, তেমনি প্রকৃতি পরিবেশ এবং জীব বৈচিত্র্য সম্পর্কে অনেক নতুন নতুন তথ্য জানতে পারেন মানুষ। এই বিশেষ দিনে এমন একটি কর্মসূচি আয়োজন করার জন্য বায়োডাইভারসিটি বোর্ড এবং বনদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ত্রিপুরা বায়োডাইভারসিটি বোর্ডের এ সি এফ অনিমা দাস ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন। 
পাশাপাশি উপস্থিত অতিথিরা প্রকৃতি ভবন প্রাঙ্গনে গাছের চারা রোপন করেন এবং আগরতলা সাইক্লো হলিক ফাউন্ডেশনের সদস্যদের হাতে একটি বাইসাইকেল তুলে দেন।
 আলোচনা সভার দ্বিতীয় পর্বে বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এই পর্বে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক ড. কৃপাময় চক্রবর্তী মিলেট ও মৌসুমী ফলে উপকারিতা এবং ঔষধি গুণ নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন। ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ের রিসার্চ এসোসিয়েট সামাজিক স্তরে জীববৈচিত্র্য রক্ষা বিষয়ক একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন। এদিনের এই আলোচনা সভায় বনদপ্তরের কর্মীদের পাশাপাশি একাধিক স্কুল এবং কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও অংশ নিয়েছিল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ