Advertisement

Responsive Advertisement

ড্রাগসের কবল থেকে মুক্ত করতে এনএসএস'র স্বেচ্ছাসেবীদের দায়িত্ব নিতে হবে: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৩ মে ২০২৩: যুব সমাজকে ড্রাগসের কবল থেকে মুক্ত করে সমাজে পরিবর্তন আনতে এনএসএস এর স্বেচ্ছাসেবীদের অন্যতম প্রধান ভূমিকা নিতে হবে। ড্রাগসের ভয়াবহতা সম্পর্কে ছেলেমেয়েদের সচেতন ও সতর্ক করার দায়িত্বও নিতে হবে এনএসএস ইউনিটকে।সমাজকে সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে দায়িত্ব সহকারে কাজ করতে হবে তাদের। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধীন ত্রিপুরা স্টেট এনএসএস সেলের উদ্যোগে বুধবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত নেশা মুক্ত ত্রিপুরার উপর সেমিনার ও রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এর পাশাপাশি মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে সমাজে বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা আরো বলেন, ৭০'এর দশক থেকেই ড্রাগসের মাধ্যমে ভারতবর্ষকে দুর্বল করে দেওয়ার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চক্র সহ জাতীয় স্তরে কিছু ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে যুবসমাজকে নেশার কবলে ঠেলে দিতে চাইছে। ড্রাগস ব্যবহারের কারণে এইচআইভি এইডস এবং হেপাটাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। তাই এবিষয়ে সচেতন হয়ে এর বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে হবে। যে রক্ত আমাদের প্রাণ বাঁচায় সেই রক্তের মাধ্যমেই ইনজেকশন মারফতে ড্রাগস নিয়ে জীবন শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। তাই এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী এনএসএস স্বেচ্ছাসেবীদের এগিয়ে আসার আহ্বান রাখেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসামের পরে নেশা জাতীয় দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করার বিরুদ্ধে অভিযানে ত্রিপুরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। জনসাধারণকে মাদক ব্যবসায়ী এবং দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করার আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, “আমাদের অপরাধীদের চিহ্নিত করতে হবে যারা সমাজকে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করছে'। স্কুল-কলেজে এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে হবে যারা মাদক বিক্রি করছে, সমাজকে কলুষিত করছে। কিন্তু লক্ষ্য করা যায় এসব বদ লোকদের ভয়ের কারণে অনেকে তাদের নাম উল্লেখ করতে চায় না। তবে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। তাই সমাজের বিনষ্টকারী ও মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা পুলিশকে ড্রাগসের কিংপিনদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রশংসনীয় ভূমিকার জন্য এনএসএস স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেকোনো দুর্যোগের সময় এনএসএস ইউনিট সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। রক্তদান সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা জানান, রক্ত হচ্ছে এমন একটি উপহার যা ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করার সময় শরীরে দিয়ে দেন। যার দ্বারা একজন মানুষ অন্যজনের প্রাণ বাঁচাতে পারেন। বস্ত্রদান, চক্ষুদান, মরনোত্তর দেহদান, শিক্ষাদান ইত্যাদি করা যায়। কিন্তু রক্তদান হচ্ছে এরমধ্যে অন্যতম একটি মহৎ দান। 
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, দপ্তরের অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ, ত্রিপুরা স্টেট এন এস এস সেলের আধিকারিক এসোসিয়েট প্রফেসর ড: চিত্রজিত ভৌমিক সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ