Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে: মুখ্যমন্ত্রী

গোমতী জেলা হাসপাতালে দুটি অ্যাডভান্স লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন ও জেলাভিত্তিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী।
 আগরতলা, ১০ মে: ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে উন্নত করতে যথাযথ ভূমিকা নিয়ে কাজ করে চলেছে। এজন্য সবার আগে দরকার জনগণের সার্বিক সহযোগিতা। বুধবার গোমতী জেলা হাসপাতালে ওটিপিসি প্রদত্ত দুটি অ্যাডভান্স লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সার্বিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যপরিসেবা অন্যতম। তাই তিনি প্রত্যেকটি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, রোগীদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে জনগণের কিভাবে উপকার করা যায় এই চিন্তা-ভাবনা নিয়ে সকল মন্ত্রী বিধায়করা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। 
মুখ্যমন্ত্রী বলেন জনসাধারণের মৌলিক সমস্যা নিরসনের ক্ষেত্রে গোটা দেশে যাতে ত্রিপুরা নজির সৃষ্টি করতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়েই সবাই কাজ করে চলেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে গোমতী জেলা হাসপাতালে ট্রমা সেন্টার উদ্বোধনের কথাও তুলে ধরেন। এই অঞ্চলের আপৎকালীন ও দুর্ঘটনাগ্রস্থ রোগীরা যাতে যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা লাভ করতে পারে তার জন্যই এটি খোলা হয়েছে। তাই রোগীরা যাতে একটি স্বাচ্ছন্দ্য পরিবেশে চিকিৎসা পরিষেবা লাভ করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সহ এলাকার সাধারণ মানুষকেও কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

ব্যক্তিগত কর্মজীবনে গোমতী জেলা হাসপাতালে চাকরি করার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই এলাকার সাধারণ মানুষের চাহিদা ও সমস্যার সম্পর্কে আমি ভালোভাবেই অবহিত আছি। তাঁরা হাসপাতালে এসে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছ থেকে ভদ্র আচরণ প্রত্যাশা করে। ওটিপিসি উদ্যোগী হয়ে এই হাসপাতালে দুটি অ্যাডভান্স লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করায় কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন অত্যাধুনিক দুটি এম্বুলেন্স এই এলাকার মানুষের দারুন উপকারে আসবে। শুধুমাত্র গোমতী জেলা হাসপাতালেই নয়, রাজ্যের অন্যান্য যে কটি হাসপাতালে প্রয়োজন রয়েছে সেখানেও যাতে এইরকম অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা যায় এক্ষেত্রে উদ্যোগী হওয়ার জন্য ওটিপিসির প্রতি আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিধায়ক রাম পদ জমাতিয়া, অভিষেক দেবরায়, ওটিপিসি এর এমডি সহ অন্যান্যরা।
পরে মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় ও বিধায়ক অভিষেক দেবরায়কে সঙ্গে নিয়ে ৩২ মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ফুলকুমারী মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা । তিনি কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত করেন। এখানে তিনি দুজন দিব্যঙ্গজনের হাতে চলন সামগ্রী তুলে দেন।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা সোজা চলে যান গোমতী জেলা শাসকের কার্যালয়ে। সেখানে জেলাশাসক গোভেকার ময়ূর রতিলাল এবং পুলিশ সুপার অজিত প্রতাপ সিংহের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর করেন। পরে জেলা শাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে গোমতী জেলা ভিত্তিক পর্যালোচনা বৈঠকে পৌরহিত্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, রামপদ জমাতিয়া, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের সচিব পিকে চক্রবর্তী সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ