Advertisement

Responsive Advertisement

হাওড়া নদীর পাড় সবুজ ও সুন্দর করে তোলার কাজ ঘুরে দেখলেন মেয়র দীপক মজুমদার

আগরতলা, ৩মে ২০২৩: আগরতলার শহরকে আরো পরিচ্ছন্ন নির্মল এবং সবুজ করে তোলার লক্ষ্যে একের পর এক কাজ করে চলছে পুর নিগম। এবার পুর নিগমের লক্ষ্য জঞ্জাল এবং দূষিত হাওড়া নদীকে নির্মল করে তোলা পাশাপাশি নদীর পাড়কে সবুজ এবং সুন্দর করে তোলার লক্ষ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। হাওড়া রিভার ফ্রন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অধীনে এই কাজ ঘুরে দেখলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। রাজধানীর ঝুলন্ত ব্রিজ এলাকার থেকে দশমীঘাট পর্যন্ত প্রায় ২কিমি জোড়ে হাওড়া নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ চলছে। ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওড়া নদীর পাড় উন্নয়নের জন্য হাওড়া রিভার ফ্রন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প হাতে নিয়েছে আগরতলা স্মার্ট সিটি লিমিটেডের পক্ষ থেকে।বুধবার এই কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। তার সঙ্গে ছিলেন আগরতলা স্মার্ট সিটি প্রজেক্ট অধিকর্তা ড. শৈলেশ কুমার যাদব, মনোনীত কর্পোরেটর অদিতি ভট্টাচার্য দাশগুপ্ত, এলাকার কর্পোরেট সহ অন্যান্যরা। নদীর পাড়ে বাঁধ দেওয়া সহ সম্পূর্ন বিষয় খতিয়ে দেখে মেয়র বলেন, নদীর পাড়কে সবুজ সুন্দর এবং মজবুত করে তোলার জন্য এই কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে হাওড়ার পলি তুলে নাব্যতা বৃদ্ধি করা হবে। হাওড়ার পাড় সাজিয়ে তোলা হবে। সেই সাথে সাধারণ মানুষদের হাঁটার এবং বসার জন্য জায়গা করে দেওয়া হবে, তৈরি করা হবে ফুলের বাগান। বাই সাইকেল চালানোর জন্য আলাদা করে লেন তৈরি করে দেওয়া হবে। বর্তমানে হাওড়া নদীর যে পাড় রয়েছে এটি মাটির তৈরি, তাই প্রতি বছর বর্ষার সময় পাড় ভেঙ্গে শহরে জল ঢোকার আশঙ্কা থাকে। বর্ষার সময় প্রবল বেগে যখন জল বইতে থাকে তখন মাঝে মাঝেই পাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাটো ভাঙ্গন দেখা যায়। তাই এখন পাড়কে মজবুত করে পাথর ও সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। বটতলা মহাশ্মশান ঘাট এলাকায় হাওড়া নদীর পাড়ে শ্মশান যাত্রীদের সুবিধার জন্য সুন্দর করে সিঁড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। 
হাওড়া নদীর পাড়ে শহর জুড়ে অসংখ্য বাড়িঘর রয়েছে, তাদের বাড়ি ঘরের ও প্রণালী এবং শৌচালয়ের জল সরাসরি হাওড়ার জলে মিশছে। এছাড়াও শহরের বেশিরভাগ এলাকার ড্রেনের জল সরাসরি হাওড়া নদীতে গিয়ে পড়ছে। অথচ এই হাওড়ার জলকে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে পরিশ্রুত করে শহরে পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের অধীনে চারটি পৃথক পৃথক জায়গায় ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো হবে। এই প্ল্যান্টগুলোতে শহরের সব ড্রেনের জল যাবে এবং সেখানে ট্রিটমেন্ট করে পরিশ্রুত হওয়ার পর হাওড়া নদীতে পড়ে। সব মিলিয়ে বর্তমানে যে দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা এবং অপরিচ্ছন্ন হাওড়া নদীর পাড় রয়েছে দের বছরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেলে এর চেহারা বদল হয়ে যাবে বললেও অভিমত ব্যক্ত করেন মেয়র। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ