Advertisement

Responsive Advertisement

বিধায়কদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে নয়া বিধায়ক আবাসন: মুখ্যমন্ত্রী

 আগরতলা, ৫ মে: সারা ভারতবর্ষের মধ্যে রাজ্যের একটি সুন্দর জায়গায় বিধায়কদের থাকার জন্য একটি সুন্দর ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। এই আবাসনে সব দলের বিধায়কগণ এক ছাদের নিচে মনোরম পরিবেশে থাকবেন। এতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে আরও গতি আনতে এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। সচিবালয় সংলগ্ন স্থানে তৈরি এই বিধায়ক আবাসন সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। শুক্রবার রাজধানীর ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সস্থিত মহাকরণ সংলগ্ন নবনির্মিত বিধায়কদের আবাসনের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
                   অনেকদিন ধরেই রাজ্যে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিধায়ক আবাসন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। কারণ বর্তমানে যে দুটি বিধায়ক হোস্টেল রয়েছে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলির অবস্থা থাকার প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাই ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় এসেই আগে এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা শুরু করে। তারপর পূর্ত দপ্তরকে দিয়ে নয়া বিধায়ক আবাসন গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। যথারীতি এবার নবনির্মিত বিধায়ক আবাসনের গৃহ প্রবেশ হয়ে গেলো। শুক্রবার এই উপলক্ষে রাজধানীর ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স এলাকায় নবনির্মিত বিধায়ক ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যতম অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে দুটি বিধায়ক হোস্টেল ছিল। এরমধ্যে যারা সরকারে থাকবেন তারা একটিতে থাকতেন। আর যারা বিরোধী আসনে তাদের জন্য অপর হোস্টেল বরাদ্দ থাকতো। এক্ষেত্রে একটা বিভাজন দেখা দিতো। তবে এই নবনির্মিত বিধায়ক আবাসনে সরকার বিরোধী সকল বিধায়কগণ একই হোস্টেলে থাকবেন। এতে সরকার ও বিরোধী সকল বিধায়কদের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত হবে। নবনির্মিত বিধায়ক আবাসনকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। 
এদিন গৃহপ্রবেশ উপলক্ষে পূজার্চনায় সামিল হন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ, অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়, বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা, মুখ্যসচেতক কল্যাণী রায় সহ বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী, বিধায়ক ও প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকগণ। নবনির্মিত বিধায়ক ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫১ কোটি টাকার অধিক। এদিন বিধায়কদের হাতে নবনির্মিত ভবনের চাবি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, নবনির্মিত বিধায়ক আবাসনে ৪৫ জন বিধায়ক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ