আগরতলা, ৩১ মে: ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তা তপন ভৌমিকের খুনের ঘটনায় যুক্ত কোন অভিযুক্তকে ছাড়া হবে না। এক্ষেত্রে আইন আইনের পথেই চলবে। পাশাপাশি শহীদ তপন ভৌমিকের পরিবারকে সরকারিভাবে যা যা সহযোগিতা দেওয়া যায় সেটা করা হবে। পরিবারের তরফে যোগ্য কেউ থাকলে চাকরি প্রদানের জন্য রাজ্য সরকার চিন্তা ভাবনা করবে। বুধবার আগরতলার গুর্খাবস্তি এলাকায় শহীদ কার্যকর্তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
এদিন অসহায় পরিবারের সদস্যদের হাতে এককালীন সহায়তা হিসেবে ২ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন একদল দুর্বৃত্তের হাতে শারীরিকভাবে আক্রান্ত হন ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তা তপন ভৌমিক। তাকে আঘাত করে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। পরবর্তী সময়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তার। যথারীতি এই ঘটনায় নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পাশাপাশি গোটা ঘটনার উপর নজর রাখেন বিজেপির প্রদেশ নেতৃত্বও। ইতিমধ্যে ন্যায় বিচার চেয়ে শহীদ তপন ভৌমিকের পরিজনরা বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার সঙ্গেও দেখা করেন।
এরমধ্যে বুধবার প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন বিধায়ক ডা: দিলীপ দাসকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ কর্মীর বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সেখানে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকার এবং দল যে তাদের পাশে আছে সেবিষয়ে আশ্বাস দেন তিনি। পরে বাইরে অপেক্ষমাণ সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, গত ২ মে কমিউনিস্ট আশ্রিত দুর্বৃত্তদের আক্রমনে মারা যান ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তা তপন ভৌমিক। সেই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তপন ভৌমিক হত্যার ঘটনায় কাউকে ছাড়া হবে না। আইন মেনে কাজ করবে পুলিশ।
মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, শহীদ পরিবারকে এককালীন সহায়তা হিসেবে ২ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। তবে শুধু আর্থিক অনুদান দিয়ে কারো জীবন ফিরে পাওয়া যায় না। তার পরিবারের পক্ষ থেকে যোগ্য কেউ থাকলে তাকে চাকরি দেওয়া যায় কিনা সেটাও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। এধরণের হিংসার ঘটনায় কেউ মারা গেলে পরিবারকে কিভাবে সহায়তা করা যায় এজন্য গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি দেখার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কার্যকর্তাদের প্রতি ভারতীয় জনতা পার্টি যে কতটুকু আন্তরিক মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ