Advertisement

Responsive Advertisement

এবছর তরমুজ চাষে সাফল্য পেয়েছেন বেলবাড়ি এলাকার চাষীরা

আগরতলা: এবছর পশ্চিম জেলার অন্ত:র্গত বেলবাড়ি কৃষি মহকুমার চাষীরা তরমুজ চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। বিশেষ করে জনজাতি অংশের চাষীরা সাফল্য পেয়েছেন। তাদের এই সফলতার পেছনে কৃষি ও কৃষক কল্যান দপ্তরের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
এক সময় ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গ্রীষ্মের মরসুমে ব্যাপক তরমুজ চাষ হলে এখন বহি:রাজ্য থেকে ব্যাপক পরিমাণে তরমুজ আসার ফলে রাজ্যে উৎপাদিত তরমুজ চাষীরা তেমন লাভ আমার না হওয়ায় উৎসাহ হারিয়ে ছিলেন। তবে বর্তমানে রাজ্যের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তর তরমুজ চাষে নতুন করে গুরুত্ব দেওয়ায় কৃষকরা আবার উৎসাহিত হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে এবছর পশ্চিম জেলার অন্তর্গত বেলবাড়ি কৃষি মহকুমা অফিসের অধীনে বড় অংশের জায়গায় তরমুজ চাষ করা হয়। মরশুমে ফলন ভালো হওয়ায় তারা ব্যাপক ভাবে লাভবান হন। এদিকে এবছর আবহাওয়ার তাপমাত্রা পুরাতন বছরগুলোর রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। এবছর রাজধানী আগরতলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটে গিয়ে পৌঁছায়। তাপমাত্রার পারদ যত বেড়েছে তরমুজের চাহিদা তত বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারেরা মাঠ থেকেই তরমুজ কিনে নিয়েছেন বলে জানান চাষীরা। পাশাপাশি তারা জানান এবছর তাদের তরমুজের ফলন ভালো হওয়ার পেছনে কৃষি ও কৃষক কল্যান দপ্তরের গুরুত্ব ও পরিসীম। উন্নত মানের বীজ সারাসহ সময় মত সঠিক পরামর্শ দেওয়ার ফলে তাদের এই ফলো ভালো হয়েছে।
কৃষি অধিকারী পিংকু বাসাল দেববর্মা জানান, এবছর স্থানীয় কৃষি ও কৃষক কল্যান দপ্তরের অফিসের তরফে ২৫ জন চাষীকে সহায়তা করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে একুশ জন চাষী তরমুজ তরমুজ উৎপাদনের সফলতা অর্জন করে। এদের মধ্যে কয়েকজন হল, দিলীপ দেববর্মা, তপন দেববর্মা, সুজিত দেববর্মা, বুধু দেববর্মা, সুরজিৎ দেববর্মা প্রমুখ। ভালো ভাবে উৎপাদন করার জন্য দপ্তরের তরফে এটিএমএ প্রকল্পের মাধ্যমে সার বীজ প্রশিক্ষণসহ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। দপ্তরের এই উদ্যোগ চাষিরা খুব খুশি বলেও জানেন তিনি। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ