Advertisement

Responsive Advertisement

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায় বাঙালির কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অপূর্ব নিদর্শন পাওয়া যায় : মুখ্যমন্ত্রী


উদয়পুর, ৯ মে ২০২৩: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায় বাঙালির কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অপূর্ব নিদর্শন পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি প্রতিষ্ঠান। এক মাস দু মাস কিংবা এক বছর দু'বছর বলে শেষ করা যাবে না। মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভারত ভাস্কর উপাধি দিয়েছেন। এটা আমাদের কাছে খুশির খবর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ত্রিপুরাতে ৭ বার এসেছেন। আজ উদয়পুরের ভুবনেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে ১৯তম রাজর্ষি উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, ত্রিপুরার রাজারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে সহায়তা করেছেন। ত্রিপুরার রাজাদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ত্রিপুরার প্রেক্ষাপটে রাজর্ষি উপন্যাস রচনা করেছেন। রবীন্দ্রনাথকে ছাড়া আমাদের জীবন কখনও পূর্ণ হবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ সারা রাজ্যে উৎসবের মেজাজে রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন করা হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের লেখা গান ভারত ও বাংলাদেশের ন্যাশনাল অ্যানথেম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখী বন্ধন উৎসব শুরু করেন। জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতা করে ব্রিটিশদের দেওয়া নাইট উপাধি ত্যাগ করেছিলেন। এটাই রবীন্দ্রনাথের দেশপ্রেম। তিনি গীতাঞ্জলির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের পাশাপাশি ভুবনেশ্বরী মন্দির এবং পুরাতন রাজবাড়ির একটা ঐতিহ্য রয়েছে। আর্কলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া এই ভুবনেশ্বরী মন্দিরকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ত্রিপুরার উনকোটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পেয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার সকলের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রক্ষায় আন্তরিক।
অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, গোমতী জেলার জেলাশাসক গোভেকার ময়ূর রতিলাল, গোমতী জেলার পুলিশ সুপার অজিত প্ৰতাপ সিং, মাতাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুজন কুমার সেন, সমাজসেবী অজিত পোদ্দার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি কার্যালয়ের সহঅধিকর্তা মনোজ দেববর্মা। সভাপতিত্ব করেন উদয়পুর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার। তিনি মেলার সঙ্গে যুক্ত সকল দপ্তর এবং মেলার সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
আজ সকালে উদয়পুর টাউনহলে রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য ও মাল্যদান করা হয়। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন উদয়পুর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি কার্যালয়ের সহঅধিকর্তা মনোজ দেববর্মা প্রমুখ। এদিন প্রভাতী অনুষ্ঠান হয়েছে ভুবনেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে। সেখানেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য ও মাল্যদান করা হয় এবং পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাজর্ষি উৎসব উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, গ্রামীণ ক্রীড়া, স্বাস্থ্য শিবির। এছাড়া ৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে ত্রিপুরা সহ বাইরের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবে। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন দপ্তর থেকে খোলা হয়েছে উন্নয়নমূলক প্রদর্শনী মন্ডপ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ