Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্যের উন্নয়নে উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১১ মে, ২০২৩: রাজ্যের উন্নয়নে উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। ফলে রাজ্যে বর্তমানে রেল, সড়ক ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক উন্নতি হয়েছে। আজ সচিবালয়ের ২নং সভাকক্ষে পরিবহণ দপ্তরের পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা একথা বলেন। সভায় পরিবহণ দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে ও সড়ক সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পরিবহণ দপ্তর ও আরক্ষা দপ্তরের (ট্রাফিক) মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলে কাজ করতে হবে। সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি গাড়ি ও দ্বিচক্র যানে সরকারি গাইডলাইন অনুসারে নম্বর প্লেইট লাগানোর বিষয়টি দপ্তরকে গুরুত্বসহ দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
সভায় পরিবহণ দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা জানান, রাজ্যের বিমানপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যা গত ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয়েছে। তিনি জানান, গত ৫ বছরে রাজ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ফলে ২০১৮ সালে যেখানে রাজ্যে মাত্র ৬টি ট্রেন সার্ভিস ছিল তা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ১৫টি। রাজ্যে সবুজ পরিবহণ ব্যবস্থার (গ্রীণ ট্রান্সপোর্ট) উন্নয়নে ২০২২ সালে রাজ্যে ই-ভেহিক্যাল পলিসি চালু করা হয়েছে। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায়ের লক্ষ্যে রাজ্যে ই-চালান ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে। সচিব জানান, গোমতী নদীতে জলপথে পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে সোনামুড়া-দাউদকান্দি রুটকে ইন্দো-বাংলাদেশ প্রটোকল রুট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অভ্যন্তরীণ জল পরিবহণ মন্ত্রক গোমতী নদীতে ৯টি ভাসমান জেটি নির্মাণ ও অন্যান্য কাজের জন্য ২৪ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে। তিনি জানান, জিরানীয়াস্থিত এনআইটি'র পাশে গত ১২ এপ্রিল, ২০২৩ ড্রাইভিং ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করা হয়েছে। এরজন্য ১৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। পরিবহণ দপ্তরের সচিব জানান, আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। এই রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১২.৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভারতের অংশে রয়েছে ৫.৪৬ কিমি এবং বাংলাদেশের অংশে রয়েছে ৬.৫৭ কিমি। 
আগরতলা-আখাউড়া রেলপথের ভারতের অংশের ৮৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশের অংশের ৭৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া নিশ্চিন্তপুরে রেল ইয়ার্ডের নির্মাণ কাজও ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সচিব জানান, আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগরতলা-চিটাগাং রুটে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করা হবে। এই লক্ষ্যে দপ্তর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সভায় এছাড়াও খোয়াই পুরান বাজারে সুসংহত পার্কিং কমপ্লেক্স নির্মাণ, পেচারথল-ধর্মনগর-কৈলাসহর রেল সংযোগ, সাধুম রেল ইয়ার্ড নির্মাণ, কৈলাসহর বিমানবন্দরকে পুনরায় চালু করা সহ অন্যান্য বিষয়ে পরিবহণ সচিব আলোচনা করেন।
পর্যালোচনা সভায় এছাড়াও পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, রাজস্ব দপ্তরের প্রধান সচিব পুনিত আগরওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব প্রদীপ চক্রবর্তী সহ পরিবহণ দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ