Advertisement

Responsive Advertisement

থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া রোগ সম্পর্কে আগাম পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৮ মে: থ্যালাসেমিয়া দিবস পালনের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে এই রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কিভাবে থ্যালাসেমিয়াকে প্রতিরোধ করা যায় সেবিষয়ে আলোচনা করা। সচেতনতাই থ্যালাসেমিয়াকে হারানোর অন্যতম চাবিকাঠি। থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে আরো সতর্ক হচ্ছে রাজ্য সরকার। সোমবার হাঁপানিয়াস্থিত ত্রিপুরা ইনস্টিটিউট অফ প্যারা মেডিকেল সায়েন্সে আয়োজিত থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন অনুষ্ঠানে এভাবেই দিনটির গুরুত্ব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স, ত্রিপুরা শাখা, ন্যাশনাল হেলথ মিশন অফ ত্রিপুরা, থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি এবং ত্রিপুরা ইনস্টিটিউট অফ প্যারা মেডিকেল সায়েন্সের যৌথ উদ্যোগে এদিন বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, সবাই মিলে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। রক্তের ব্যাধির সাথে লড়াই করা ব্যক্তিদের সমর্থন করতে হবে। রাজ্য সরকারও গুরুত্বের সঙ্গে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে সতর্ক হচ্ছে। কারণ থ্যালাসেমিয়া একটি রক্ত সম্পর্কিত রোগ। বংশ পরম্পরা ক্রমে এই রোগ বিস্তৃতি লাভ করে। তাই থ্যালাসেমিয়া রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় তার উপর সচেতনতা প্রয়োজন। থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়ার মত রোগগুলি সম্পর্কে আগাম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সেটা নিশ্চিত করা ও বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার।
 সমাজে কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে রাজ্যে এই প্রবনতা অধিক পরিলক্ষিত হয় উত্তর জেলায়। তিনি বলেন, এধরণের প্রবনতা রোখার জন্য বয়সের সঠিক প্রমানপত্র বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আর এসব কিছু করা হবে মানুষের স্বার্থে। এতে বিরোধীতার প্রশ্ন উত্থাপন করা ঠিক নয়। বর্তমানে দেশে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ মানুষ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রয়েছেন। সারা দেশে প্রায় ৫ কোটি থ্যালাসেমিয়ার বাহক রয়েছেন। দেশে প্রতি বছর ১০ থেকে ১৫ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় ৩৮৩ জন রোগী নিয়মিত রক্ত নেন। আজকের পড়ুয়া আগামীদিনে শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। কিন্তু যারা আগামীদিনের ব্যাটন হাতে তুলে নিচ্ছেন তাদের দায়িত্ব মানুষকে বোঝানোর। এতে দূরত্ব থাকবে না। এর পাশাপাশি নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নেশা রোধে সকলকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। যারাই এসব অনৈতিক ও বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। এভাবেই নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠন বাস্তবায়ন করার উপর জোর দেন তিনি।
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা ইনস্টিটিউট অফ প্যারামেডিকেল সায়েন্স প্রতিষ্ঠানের একটি হলের সমস্যা থাকার বিষয়টি তাঁর নজরে এসেছে। এক্ষেত্রে ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি নির্মীয়মান হল প্রয়োজনে তারা ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্সের ডা: স্বপ্না সাহা, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব ডাঃ দেবাশীষ বসু, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডাঃ শুভাশিস দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ