Advertisement

Responsive Advertisement

কর্কটক্রান্তি রেখা ছুঁয়ে গেছে যে জায়গাটি

আগরতলা : কর্কটক্রান্তি রেখা বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি অঞ্চলের উপর দিয়ে হয়ে গিয়েছে। এই রেখা বয়ে গিয়েছে ত্রিপুরার উপর দিয়েও। বনদপ্তরের কল্যানে এখন ত্রিপুরার এই বিশেষ জায়গাটি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই জায়গাটিকে দেখার আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। 
কর্কটক্রান্তি রেখা পৃথিবীর উষ্ণ মন্ডলীও একটি অঞ্চল। ভূগোল গবেষকদের মতে এই অঞ্চলের উপর বছরের বেশিরভাগ সময় সরাসরি সূর্যের আলো পতিত হয় তাই এই অঞ্চলের উষ্ণতা বেশি থাকে। এই রেখাটিকে ইংরেজিতে ক্যান্সার লাইন বলা হয়, তাই অনেকে বলেন এই অঞ্চলে ক্যান্সার বা কর্কট রোগের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে এই রেখার সঙ্গে ক্যান্সার রোগের কোন সম্পর্ক নেই বলে অভিমত অনেক বিশেষজ্ঞদের। ত্রিপুরার গোমতী জেলার গর্জি এলাকার উপর দিয়ে বয়ে গেছে এই লাইন। ৮ নম্বর জাতীয় সড়কের যে জায়গার উপর দিয়ে লাইনটি চলে গিয়েছে সাধারণ মানুষ যাতে সহজেই জায়গাটিকে চিহ্নিত করতে পারেন তার জন্য রাজ্য সরকারের বন দপ্তরের তরফে এই জায়গাটিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী মানুষ এখন জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় এই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলেন। বিশ্বের যেকোন প্রান্তে এমন জায়গা না থাকায় অনেক মানুষের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম। এই জায়গাটির চিহ্নিত করে দেওয়ার জন্য কৌতুহলি মানুষ বনদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তাদের অনেকের আরো অভিমত আরো বেশি প্রচারে নিয়ে এলে জায়গাটি আকর্ষণীয় একটি পর্যটন স্থল হয়ে উঠতে পারে। কারণ দেশ এবং গোটা বিশ্বের শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু জায়গা দিয়ে বয়ে গেছে এই লাইন। এটি শুধু একটি লাইনই নয় বিশেষ ভৌগোলিক অঞ্চল। 
কর্কটক্রান্তির রেখা বিশ্বের ১৬টি দেশের মধ্য দিয়ে যায়। এগুলি হলো ভারত, আলজেরিয়া, নাইজার, লিবিয়া, মিশর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, চীন, তাইওয়ান, মেক্সিকো, বাহামা, মৌরিতানিয়া এবং মালি।
কর্কটক্রান্তির রেখা ভারতের মোট আটটি রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে গেছে। এগুলি হল রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, ছত্রিশগড়, ঝাড়খন্ড পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম। উত্তর-পূর্ব ভারতের শুধুমাত্র ত্রিপুরা ও মিজোরামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই রেখা হচ্ছে সবচেয়ে উত্তরের অক্ষাংশ যেখানে সূর্য সরাসরি মাথার উপর থাকে এবং এটি বিখ্যাত জুন অয়নকালের সময় ঘটেথাকে।
এই লাইনের উত্তরে উপক্রান্তীয় এবং উত্তর নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলগুলি খুঁজে পাওয়া যায়।
কর্কটক্রান্তির দক্ষিণে এবং মকর রাশির উত্তরে এটি ক্রান্তীয়। সমুদ্র থেকে আর্দ্রতা টেনে নেয় এবং পূর্ব উপকূলে মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়। বিশ্বের আর্দ্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনের বৃহত্তম এলাকা রয়েছে এই অঞ্চলে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ