Advertisement

Responsive Advertisement

দায়িত্বভারের এক বছর পূর্তির সময়ে এমন একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের অনুভূতি : মুখ্যমন্ত্রী।


আগরতলা, ১৬ মে : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অধ্যাপক ডা মানিক সাহা সোমবার এক বছর পূর্ণ করেছেন। তার ঠিক পরের দিনে রাজ্যের সকল অংশের মানুষদের স্বার্থে গন বন্টন ব্যবস্থায় এক মাইলফলক হিসেবে প্যাকেটজাত গুঁড়ো মশলা সরবরাহের উদ্বোধন করা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আজ আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ভর্তুকিমূল্যে রেশন শপের মাধ্যমে প্যাকেটজাত গুঁড়ো মশলা তথা মরিচ, হলুদ, জিরা এবং ধনিয়া সরবরাহ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন, জনসাধারণ ও কৃষকদের মৌলিক সমস্যা নিরসনে খুবই আন্তরিক ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার। এই লক্ষ্যকে অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বান 'ভোকাল ফর লোকাল'কে পাথেয় করে বর্তমান রাজ্য সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় স্থানীয় শিল্প উদ্যোগী প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসাহিত হচ্ছে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ স্থানীয় প্রতিষ্ঠান 'মেসার্স অন্নদা স্পাইসেস ইন্ডাস্ট্রিজ' গণ বন্টন ব্যবস্থায় প্যাকেটজাত রান্নার গুঁড়ো মসলা সরবরাহের বরাত পাওয়া। সরকার স্বচ্ছতার সাথে ই টেন্ডারিং এর মাধ্যমে এটা করেছে বলেই সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে মৈত্রী সেতু চালু হলে ত্রিপুরার চেহারা পাল্টে যাবে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হবে ত্রিপুরা। তখন রাজ্যের শিল্প উদ্যোগী প্রতিষ্ঠানগুলো আরো সুবিধা পাবে বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা বলেন, ১৯৬০ সালে দেশে গণবন্টন ব্যবস্থা চালু হওয়ায় খাদ্য ও জনসংবরণ দপ্তরের কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক গুণ বেড়ে গেছে। জনগণের সেবামূলক মনোবৃত্তি নিয়ে দপ্তরের কর্মীরা যেভাবে কাজ করে চলেছেন তার ভূয়ষী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি কোভিড প্রতিমারি চলাকালীন সময়ে এই দপ্তরের কর্মীদের কাজের বাহবা দিয়ে বলেন, তাঁরা যথাযথভাবে সহযোগিতা না করলে সরকার ১১০০ টাকার খাদ্য সামগ্রীর ব্যাগ প্রত্যেকটা রেশন কার্ড হোল্ডারদের কাছে পৌঁছে দিতে পারত না। প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ অন্য যোজনায় সকলের হাসিমুখ ফোটাতে এই দপ্তরের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত রেশন ডিলারদের উদ্দেশ্যে সম্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই খুশির বিষয় যে, সমস্ত রেশন ডিলারগণ আজ এখানে একটি মহতি উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। রেশন ডিলারদের বিভিন্ন দাবি দেওয়া সম্পর্কে নিজের অবগতির কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার সমস্যা সৃষ্টি না করে সমস্যার সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মুখ্যমন্ত্রী তথ্য দিয়ে জানান, বর্তমানে রাজ্যে ২০৫০ টির মতো রেশনশপ রয়েছে। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকে মহিলা পরিচালিত রেশন দোকানের সংখ্যা হয়েছে ২৯০টি। বর্তমানে ৫৯টি স্থানে ১৩৭টি খাদ্য গুদাম রয়েছে। ২০১৮ থেকে এখন পর্যন্ত সরকার ৩২৭ কোটি টাকার এমএসপি সহ ১.৭১ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করেছে। কৃষকদের সবদিক দিয়ে সমর্থন করার জন্য সরকার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন ২০১৯ সালে সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে মসুর ডাল সরবরাহের উদ্বোধনের পর, আজ প্যাকেটজাত রান্নার গুঁড়ো মসলা সরবরাহের উদ্বোধন গন বন্টন ব্যবস্থার স্বার্থে সরকারের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই উদ্যোগের জন্য দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, রাজ্য সরকারের বিশেষ সচিব রেভেল হেমেন্দ্র কুমার, খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিস্বার ভট্টাচার্য, লংতরাই গুড়া মশলার কর্ণধার রতন দেবনাথ সহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ