Advertisement

Responsive Advertisement

গত অর্থবর্ষে রাজ্যে স্বেচ্ছা রক্তদানের মাধ্যমে সংগ্রহ হয়েছে ৩৮ হাজার ৭০ ইউনিট রক্ত: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১৩ মে : ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যে স্বেচ্ছা রক্তদানের মাধ্যমে সংগ্রহ হয়েছে ৩৮ হাজার ৭০ ইউনিট রক্ত। যা প্রতিবছর প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কাছাকাছি, এটা সম্ভব হয়েছে সকলের 'মানুষ মানুষের জন্য' এই চিন্তা ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে। আজ বিদেহী চতুর্থ মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ ভবতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে বনমালীপুরস্থিত শ্রীশ্রী রামঠাকুর সেবা মন্দির কতৃক আয়োজিত রক্তদান শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন ত্রিপুরায় এখন প্রায় ৪০ লক্ষ লোকের বসবাস । প্রতিবছর এক শতাংশ হিসেবে ৪০ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন। এজন্য স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের কোন বিকল্প হতে পারে না।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন শুধুমাত্র রক্তদান করলেই হবে না। এই রক্তকে যথাযথভাবে স্টোরেজ করতে না পারলে তা নষ্ট হয়ে যাবার আশঙ্কা থাকে। সরকারের উদ্যোগী প্রচেষ্টায় এখন ৭টি সরকারি ব্লাড স্টোরেজ ইউনিট রয়েছে। তিনি বলেন বর্তমানে রাজ্যে ১২টি সরকারি ব্লাড ব্যাংক আছে। এর মধ্যে দুটো আছে বেসরকারি ব্লাড ব্যাংক। পাশাপাশি রাজ্যে ব্লাড কম্পনেন্ট সেপারেশন ইউনিট রয়েছে ৬টি । এর মধ্যে সরকারি ৪টি এবং বেসরকারি ২টি।

মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে রক্তদানের ইতিহাস পুরনো। যখন যে সরকার রক্তদানের জন্য আহ্বান করেছে, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাতে অংশগ্রহণ করেছে। গত বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন সময়ে রক্তদান কর্মসূচির ভারসাম্যে কিছুটা ফারাক দেখা দেয়, এর নিরসনে যখনই তিনি সবাইকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান রাখেন, তাতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও যেভাবে এগিয়ে এসেছে তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভগবান আমাদের শরীরে রক্ত হিসেবে এমন একটি উপহার দিয়েছেন, এর চাইতে বড় কিছু আর হতে পারে না । তাই রক্তদানের মাধ্যমে একজন রক্তদাতা চারজন মুমূর্ষু ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে পারেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন থ্যালাসেমিয়া, ক্যান্সার এবং দুর্ঘটনা জনিত কারণে সবসময়ই রক্তের প্রয়োজন। যখন রাজ্যের ব্লাড ব্যাংক গুলিতে রক্তের মজুদ যথাযথ না থাকে, তখনই সমস্যা হয় । তবে রক্তের অভাবে কোন রোগীর চিকিৎসায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য সরকার হাসপাতাল গুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করেছে। তিনি বলেন, আশ্রমে এলেই একটা শান্তির অনুভূতি পাওয়া যায়। কিন্তু চারপাশে যখন নেতিবাচক কিছু রাজনৈতিক কারণে অশান্তি লক্ষ্য করা যায়, তখন বড় কষ্ট হয়। কিন্তু সরকার জনগণের সকল প্রকার সমস্যা নিরসনে আপ্রাণ কাজ করে যাচ্ছে।
হাসপাতাল গুলিতে রক্তের মজুদ রক্ষা করতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে শ্রী শ্রী রামঠাকুর সেবা মন্দিরের ভক্তরা এগিয়ে আসায় ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় । এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহাসহ অন্যান্যরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ