আগরতলা, ২৯ মে: প্রথমবারের মতো রাজ্যের কন্টেন্ট ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী তাদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের বিস্তারিত তুলে ধরেন। আলোচনায় এসকল কনটেন্ট ক্রিয়েটররা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে দেশের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ৯বছর ধরে দেশবাসীর কল্যাণে একের পর এক জনমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চলছে। সরকারের এই কাজের ফলে সমাজের সকল স্তরের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। মোদী সরকারের নয় বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশ জুড়ে একমাস ব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ৩০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই নয় বছর ধরে সরকারের তরফে মানুষের কল্যাণে যে সকল কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে এগুলি আরো ব্যাপক ভাবে তুলে ধরা হবে। সারাদেশের সঙ্গে রাজ্যে ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন ইতিমধ্য। এরই অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে রাজধানী আগরতলা সোনারতরী হোটেলের কনফারেন্স হলে রাজ্যের সংবাদ সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরবর্তী সময় সন্ধ্যার পর ওই একই জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রায় সকল সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তাদের সামনে তিনি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ কাজের বিষয়ে গুলি তুলে ধরেন। এদিনের এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, প্রদেশ আইটি সেলের ইনচার্জ চন্দন দেবনাথ প্রমুখ।
এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের কন্টেন্ট ক্রিকেটারদের সামনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেন্টেশন এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৯ বছর সময়কাল সেবা, সুশাসন, গরীব কল্যাণের নানা বিষয়গুলো তুলে ধরেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী সবসময় নিজেকে একজন সেবক মনে করেন এবং এর জন্য তিনি সর্বদা গরীব মানুষ এবং সরকারের জন্য কাজ করে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। টাকাও ব্যয় হয় গরীব মানুষের কল্যাণের জন্য। প্রধানমন্ত্রী মোদী দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়ে তুলতে কাজ করছেন। পূর্বতন সরকার মানেই দুর্নীতি আর কেলেঙ্কারি। স্বচ্ছ সরকারের আরেক নাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কারণে দেশের মানুষ টিকা দেওয়ার সময় ডবল ভ্যাকসিন পেয়েছেন এবং তাঁর কারণেই সাধারণ মানুষ বেঁচে আছে।
সাধারণ মানুষকে পাকা বাড়ি দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে গরীবদের আবাসন নির্মাণে এমন বিপ্লব আগে কখনও দেখা যায়নি। সারা দেশে ৩ কোটিরও বেশি বাড়ি দেওয়া হয়েছে এবং ত্রিপুরায় ২ লাখেরও বেশি বাড়ি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য আরও ১ লক্ষ পাকা বাড়ি মঞ্জুর করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাটির চুল্লিতে রান্না করা মহিলাদের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী ২ লক্ষ ৮৩ হাজার পরিবারকে গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কোভিড মহামারির সময় ৭ লাখেরও বেশি সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী পেয়েছেন। কৃষকদের কল্যাণে এবং কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষিজাত দ্রব্যের দাম বাড়ায়নি। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ভারত ক্রমশ উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।
ত্রিপুরা প্রদেশ আইটি সেলের কনভেনার জানান এদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ১০০ জন সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট ক্রিয়েটর এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন। প্রথমবারের মতো কোনো মুখ্যমন্ত্রী এভাবে তাদেরকে ডেকে কথা বলা এবং নৈশভোজে অংশগ্রহণ করায় তারা খুশি ব্যক্ত করেন। প্রায় সকলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলেন। নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন এই নয় বছরে দেশের যেভাবে অগ্রগতি হয়েছে স্বাধীনতার পর থেকে বিগত সরকারের সময় কোন কাজ হয়নি। তারা নিজেরাই ঘোষণা দেন সরকারের এই উন্নয়নমূলক কাজগুলো তাদের কনটেন্ট এর মধ্য দিয়ে তুলে ধরবেন। সবশেষে চন্দন দেবনাথ আরো বলেন অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন বিজেপি সরকার পূজা আর মন্দির নিয়ে পড়ে থাকে। কিন্তু বিজেপি সরকার মানুষের কল্যাণে সবচেয়ে বেশি কাজ করে তা সাধারণ মানুষের কথা থেকেই বোঝা যায়। এদিন নিজেদের মতো করে যে সকল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাজ করে থাকেন তারাও এক বাক্যে মেনে নিলেন সবচেয়ে বেশি উন্নয়নমূলক কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
.
0 মন্তব্যসমূহ