আগরতলা, ০১ জুন: রাজ্যে একটা সময় নাস্তিকতার পরিবেশ বিরাজ করেছিল। কিন্তু এখন রাজ্যের মানুষ এই ধরনের বিশ্বাস থেকে মুক্ত হয়ে বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি ইতিবাচক পরিবর্তনকে গ্রহণ করছে। বৃহস্পতিবার আগরতলার গ্র্যান্ডউইজ ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় নিখিল ত্রিপুরা শ্রী শ্রী হরিভক্তি প্রচারিণী সভার দ্বারা পরিচালিত শ্রী শ্রী রাধামদনমোহন জিউ মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই মন্দিরের নকশায় বিশেষ নজর দিতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, এক সময় রাজ্যে নাস্তিকতার পরিবেশ বিরাজ করেছিল। কিন্তু এখন রাজ্যের মানুষ এই ধরনের বিশ্বাস থেকে মুক্ত হয়েছে। অতীতে আমাদের ব্যস্ত সময়সূচী প্রায়ই মন্দিরে যেতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতো। মন্দিরের মধ্যে পবিত্র মন্ত্র এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষাগুলি আমাদের মনকে উন্নত করার পাশাপাশি ইতিবাচকতার অনুভূতি জাগিয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে। ব্যক্তির জন্য শুধুমাত্র শারীরিক বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করা নয়। বরং তাদের বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিক বৃদ্ধিকে বিকশিত করতে ভূমিকা রাখে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উত্তর-পূর্বের অন্যান্য অংশের মতো ত্রিপুরার মানুষও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে নিজেদের ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে সঠিকভাবে পড়াশুনা করছে কিনা সেটা নজর দেওয়া উচিত। তাদের কার্যকলাপ ঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সেই সঙ্গে মন্দিরের মধ্যে প্রদেয় সঠিক জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক বক্তৃতা শোনার দিকে তাদের পরামর্শ দিতে হবে। তরুণ প্রজন্মের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতও নিশ্চিত করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এটা স্বীকার করা প্রয়োজন যে, ঈশ্বর ছাড়া এই পৃথিবীতে কিছুই ঘটে না। এটা লক্ষণীয় যে, ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য থাকা সত্ত্বেও এক সময় ব্রিটিশ উপনিবেশের ফলে কঠিন পরিণতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এতে অসংখ্য অমূল্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করি। যোগব্যায়াম নিছক একটি ব্যায়াম নয়। বরং এটি ব্যক্তিকে সত্যিকার অর্থে নিজেকে অন্বেষণ করা এবং তাদের সীমাহীন সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলার একটি পথ। বিশ্বাস, আধ্যাত্মিকতা এবং যোগ অনুশীলনের মাধ্যমে আমাদের জীবনকে সুন্দর করে আমরা সম্মিলিতভাবে উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক সম্প্রীতির দিকে এগিয়ে যেতে পারি।
0 মন্তব্যসমূহ