আগরতলা, ১৪জুন: ১৪ জুন বিশ্ব রক্ত দাতা দিবস। স্বেচ্ছা রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে হেচ্ছা রক্তদাতাদের মানবিক অবদানকে স্বীকৃতি দিতে বিশ্ব রক্ত দাতা দিবস পালন করা হয়। ১৪ জুন ২০২৩ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে পরিবার কল্যাণ এবং রোগ প্রতিরোধক অধিকারের উদ্যোগে বিশ্ব রক্ত দাতা দিবস পালন করা হয়। এর উদ্বোধন করেন আগরতলা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র শ্রী দীপক মজুমদার। এদিন অধীক সময় রক্ত দান করেছেন এমন ১৫ জন রক্ত দাতাদের পুরস্কার দিয়ে সম্মান জানানো হয়েছে। বিশ্ব রক্ত দাতা দিবসের এই বছরের ভাবনা- রক্ত দান করুন প্লাজা দিন,
জীবনকে সর্বদা ছড়িয়ে দিন।” ১৮ বছর থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত তিন মাস অন্তর অন্তর যে কোনও সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষ এবং চার মাস অন্তর অন্তর মহিলারা রক্ত দান করতে পারেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে রক্তদানে সক্ষম সুস্থ মনুষের শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় যে অতিরিক্ত রক্ত থাকে, সেই অতিরিক্ত রক্তের একটি সামান্য অংশ দান করা হয়। রক্তদানে মানব দেহের কোনও ক্ষতি হয় না বরং উদ্বৃত্ত রক্ত একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর শরীরেই নষ্ট হয়ে যায়।
মানব দেহে বিভিন্ন সময় রক্তের প্রয়োজন হয় যেমন- থ্যালাসেমিয়া, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রে এবং যারা সভাপতায় ভোগেন তাদেরও সব সময় রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রসবকালীন সময়েও গভবতী মায়েদের রক্তের প্রয়োজন হলে এবং দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হলে, সেইসময় জরুরী ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন হয়। ঐ সময় যদি রক্ত সঞ্চালন না করা যায় তাহলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
বিশ্ব রক্ত দাতা দিবসের উদ্দেশ্য হলো দেখা রক্তদানে জনগণকে উৎসাহিত করা, রক্তদান এবং সামাজিক কাজে জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করা, স্বাস্থ্যবান নাগরিক যারা রক্তদানে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও রক্তদানে নিরুৎসাহি তাদের স্বেচ্ছা রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করা, স্বেচ্ছা রক্তদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা ইত্যাদি।
সাধারণত: মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশ রক্ত মজুত থাকা বাঞ্ছনীয়। সেই হিসাবে ত্রিপুরায় অর্থবছরে ৪০ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। রাজ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রক্ত সংগ্রহ হয়েছে ৪২ হাজার ৩৯২ ইউনিট। রাজ্যে ১৪ টি ব্লাড ব্যাস্ত রয়েছে। ব্লাড কম্পোনেন্ট সেপারেশন ইউনিট রয়েছে ৬ টি (৪ টি সরকারি ২ টি প্রাইভেট)। ব্লাড স্টোরেজ সেন্টার রয়েছে ৭. টি। স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির হয়েছে ৬৫৪ টি। ২০২৩-২৪ ( ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত) স্বেচ্ছা রক্তদানে রক্ত সংগ্রহ হয়েছে ৩, ৬০৭ ইউনিট। ২০২০-২৪ ( ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত) রক্ত সংগ্রহ হয়েছে ৪৩৪৪ ইউনিট। ২০২৩-২৪ ( ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত) ১০৫ টি স্বেচ্ছা রক্ত দান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিন অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সচিব ডাঃ দেবাশিস বসু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের অতিরিক্ত সচিব তথা জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা শ্রী শুভাশিস দাস, স্বাস্থ্য অধিকারের অধিকর্তা ডা: শুভাশিষ দেববর্মা, পরিবার কল্যান ও রোগ প্রতিরোধক অধিকারের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা ডাঃ সুপ্রিয় মল্লিক,
0 মন্তব্যসমূহ