আগরতলা, ৬ জুন: রাজ্যের অর্থনীতিতে ব্যবসায়ীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাদের অবদান অনস্বীকার্য। এর পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যের বিনিয়োগকারীদের সাথেও প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। ত্রিপুরার অর্থনীতির অন্যতম মেরুদন্ড ব্যবসায়ীরা। ত্রিপুরার ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এক আবেগঘন ভাষণে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। মঙ্গলবার বিজেপি ট্রেড সেলের ব্যবসায়ী সন্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বরাবরই ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সাথে তাঁর ব্যক্তিগত সংযোগ রয়েছে। কারণ তিনি নিজেও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে এসেছেন।
উন্নয়নের দিশায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অটল প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ সাহা। তিনি উল্লেখ করেন ত্রিপুরা হল উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম রাজ্য যেটি অ্যাক্ট ইস্ট নীতির সর্বাধিক সুফল ভোগ করছে৷
আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ত্রিপুরায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করছি। আমাদের রাজ্য এখন একটি অত্যাধুনিক রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে। যা একটি ফিল গুড পরিবেশের প্রমাণ। ১৩টি এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হওয়ার ফলে দেশের বিভিন্ন অংশের সাথে ত্রিপুরাকে সংযুক্ত করেছে। এতে জনসাধারণের জন্য ভ্রমণ খুবই সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। আর এই রূপান্তরমূলক পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির কারণে। তদুপরি, আমাদের জাতীয় সড়কগুলিও উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের মধ্য দিয়ে চলেছে। যারমধ্যে ৬টির কাজ সমাপ্ত হওয়ার পথে এবং আরও চারটি শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, রাজ্যের শক্তিশালী ইন্টারনেট পরিকাঠামো এবং এই অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দরের মাধ্যমে ত্রিপুরার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো উন্নততর করেছে। এতে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আরো গতি আসবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অতীতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল ত্রিপুরা। কিন্তু এখন ত্রিপুরার কাছে এখন ভারত জুড়ে এবং বাইরে থেকেও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সংস্থান রয়েছে। ত্রিপুরার অর্থনীতির সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বাইরের বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ত্রিপুরার সমৃদ্ধি আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর নির্ভর করে। আপনারা আমাদের রাজ্যের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পিছনে চালিকা শক্তি। আপনার অগ্রগতি, চিন্তা ভাবনা ছাড়া ত্রিপুরা তার পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে পারে না। এই ঊর্ধ্বমুখী গতিধারা অব্যাহত রাখতে উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং আরও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে হবে।
এর পাশাপাশি ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য পূর্ববর্তী বামফ্রন্ট সরকারের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পূর্বতন সরকারের আমলে তারা ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। উন্নয়নের গতি রোধ করতে তারা রাজনীতি করেছে। কিন্তু ২০১৪'র পর যখন নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হন তখন বিনিয়োগকারীরা আশ্বস্ত হয়েছিলেন যে তারা কোনও সমস্যা ছাড়াই বিনিয়োগ করতে পারবেন। বামফ্রন্টের সময় প্রায় সব কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের সরকার মালিক, ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকের উন্নয়নে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসার পর দেশের চেহারা পাল্টে গিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ