Advertisement

Responsive Advertisement

পেপারলেস ই-বিধানসভা অ্যাপ্লিকেশন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১২ জুন: দেশের মধ্যে তৃতীয় রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরা বিধানসভায় চালু হতে যাচ্ছে ই বিধানসভা অ্যাপ্লিকেশন। যা ডিজিটাল ইন্ডিয়ারই একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে আগামী দিনে সময় অনেকটা সাশ্রয় হবে। এতে কাগজের ব্যবহার যেমন কমানো যাবে তেমনিভাবে মানুষের জন্য উপহার দেওয়া যাবে স্বচ্ছ প্রশাসন। সোমবার বিধানসভায় পেপারলেস পরিষেবা সম্পর্কে আয়োজিত প্রশিক্ষণ শিবিরের সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
ত্রিপুরা বিধানসভার পালকে যুক্ত হলো আরো একটি নতুন পালক। এবার সারা দেশের মধ্যে খুব সম্ভবত তিন নম্বর রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরা বিধানসভায় চালু হচ্ছে এনইভিএ সিস্টেম। যা সম্পূর্ন ইন্টারনেট প্রযুক্তির ব্যবস্থাপনায় চলবে। যদিও রাজ্য বিধানসভার সদস্যদের মধ্যে কারোরই এই ব্যবস্থা সম্পর্কে তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। তাই তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো এবার। মূলত কাজকর্মে কাগজের ব্যবহার কমানোর উদ্দেশ্যে এই ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন অফিসে সারা দেশে পেপারলেস ব্যবস্থাপনা শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের অফিসগুলিতেও সেই ব্যবস্থা রূপায়ণ করা হচ্ছে। বিধানসভায় পেপার লেস পরিষেবা চালু হলে খুব কম সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্য গ্রহণ করা সম্ভব হবে। 
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ই - বিধানসভা চালুর মাধ্যমে প্রত্যেকের জন্য সহজ এবং দ্রুত নথি তৈরিতে সুবিধা হবে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি আমাদের সরকারের দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বাড়াবে। সেই সঙ্গে খরচ কমাতে ও সম্পদের বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে। করবে। কারণ এটি একটি খুবই উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। এটি ভারত সরকারের ডিজিটাল কর্মসূচির একটি অংশ। যার প্রাথমিক উদ্দেশ্য বিভিন্ন আইনী কার্যাবলীকে ডিজিটালাইজড করা এবং একসাথে রাখা। যেমন খসড়া তৈরি, প্রশ্নপত্র তৈরি, বিভিন্ন কমিটির কার্যধারা এবং ডিজিটালাইজড সমাবেশের কার্যধারা তৈরি করা। এই ব্যবস্থা রূপায়নের মাধ্যমে শারীরিকভাবে কাগজপত্র বহন করার প্রয়োজনী হবে না। এতে বিধানসভার সদস্যগণ উপকৃত হবেন। 
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করেন তখন ব্যক্তিগতভাবে এই ব্যবস্থা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয়েছে। এতে সময় যেমন বাঁচাবে তেমনি কাগজের ব্যবহারও কমবে। তাই বিধানসভার মত পবিত্র জায়গায় এমন একটি উদ্ভাবনী ব্যবস্থার উদ্বোধনের সময় উপস্থিত থাকতে পেরে খুবই গর্বিত মনে হচ্ছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মও ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, উপাধ্যক্ষ রাম প্রসাদ পাল, মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী রতন লাল নাথ, বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা এবং অন্যান্য বিধায়ক ও প্রশাসনিক আধিকারিকগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ