Advertisement

Responsive Advertisement

লোকসভার দুটি আসন জয় করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য মহিলারা বড় ভূমিকা নেবেন : মুখ্যমন্ত্রী

  আগরতলা,১৪জুন: প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর নয় বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রদেশ বিজপির মহিলা মোর্চার উদ্যোগে বিদুষী মহিলা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা।
তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, দেশের মহিলাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য একের পর এক কল্যাণকামী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই ভাবে প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শন অনুসারে রাজ্যের মা-বোনদের সুবিধার জন্য বর্তমান সরকার নানা কর্মসূচী নিয়েছেন । এর মধ্যে কিছু তিনি এদিন উপস্থিত সকলের সামনে তোলে ধরেন। সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য ৩৩শতাংশ সংরক্ষণ করা হয়েছে। ২০১৮সালে রাজ্যে স্বসহায়ক দলের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪,১০০টি তা ২০২৩সালে বেড়ে হয়েছে ৩৯,৬৭২টি। এর ফলে রাজ্যের প্রায় ৩লক্ষ ৫৪হাজার মহিলা উপকৃত হয়েছেন। ২৬,৫৫৮টির বেশী স্বসহায়ক দলকে ২৩৭.৮৬কোটি টাকা কমিউনিটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড হিসেবে দেওয়া হয়েছে। ১৮,৪৪৮টির বেশী স্বসহায়ক দলকে ২১.১৩কোটি টাকার রিভলভিং ফান্ড দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সব কলেজে মহিলাদের বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
সেই সঙ্গে রাজ্যে প্রায় ৫৫হাজার ছাত্রীদের বিনামূল্যে বাই সাইকেল দেওয়া হয়েছে। জননী সুরক্ষা প্রকল্পে প্রায় ১.৯লক্ষের বেশী মহিলার বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। টিকাকরণ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রায় আড়াই লক্ষ মা এবং প্রায় সমসংখ্যক শিশুদের বিনামূল্যে টিকা করণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্ধনা যোজনায় এক লক্ষের বেশী গর্ভবতী মা ও মাতৃদুগ্ধদানকারী মায়েদের ৫হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
একই ভাবে দেশের মানুষের কল্যানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০১৪সালের আগে পর্যন্ত সারা দেশে ৭২৩টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল আর প্রধানমন্ত্রী এই নয় বছরে নতুন করে ৩৯০টি চালু করেছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক জাতীয় সড়ক, নতুন রেলপথসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছেন। সেই সঙ্গে এক্টইস্ট নীতি গ্রহণ করে উত্তরপূর্ব ভারতের উন্নয়ন করছেন। এর ফলে সবচেয়ে বেশী লাভবান হয়েছে ত্রিপুরা। রাজ্যে আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশন, উত্তর পূর্ব ভারতের সবচেয়ে সুন্দর বিমানবন্দর রাজ্যে গড়ে তোলা হয়েছে। দেশের দ্রুততম ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এরাজ্যে। সব মিলিয়ে সারা দেশের সঙ্গে এই নয় বছরে রাজ্যের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই আগামী ২০২৪সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যের দুটি আসন জয় করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে তোলে দেওয়ার জন্য আহ্বান রাখেন। এর জন্য তিনি রাজ্যের মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান। 
মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি এদিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচাৰ্য, মন্ত্রী শান্তনা চাকমা, বিধানসভার মুখ্যস্বচেতক কল্যাণী রায়, প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, প্রদেশ মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ঝর্ণা দেববর্মা, রাজ্য শিশু কল্যাণ পরিষদের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত রাজ্যের তাঁত শিল্পী স্মৃতিরেখা চাকমা প্রমুখ। এদিনের এই সম্মেলনে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজ্যের তাঁত শিল্পী স্মৃতিরেখা চাকমা, যিনি তার কাজের দক্ষতা এবং প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করার জন্য ২০২০ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি সম্মানে ভূষিত হন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ