Advertisement

Responsive Advertisement

রথযাত্রার পুণ্য তিথিতে সকল অংশের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে ত্রিপুরাকে শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার অঙ্গীকার মুখ্যমন্ত্রীর


আগরতলা, ২০জুন: প্রতি বছরের মতো এবছরও ইস্কন আগরতলার উদ্যোগে ভগবান জগন্নাথদেবের বার্ষিক রথযাত্রা উৎসব উদযাপিত হল। মঙ্গলবার রাজধানী আগরতলার মঠ চৌমুহনী এলাকার ইস্কন মন্দির প্রাঙ্গন থেকে এই রথযাত্রার সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা।
প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ভগবান জগন্নাথ, বলদেব এবং সুভদ্রা দেবীর পূজা, রথযাত্রার রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে এবং ভক্ত সাধারনের সঙ্গে রথের দড়ি টেনে এবছরের রথযাত্রার সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। এই সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, মন্ত্রী টিংকু রায়, ইসকন মন্দিরের সহ সভাপতি শ্রীদাম গোবিন্দ দাস, সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্য, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়াসহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতের গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা বলেন, সকল মানুষ সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে রথযাত্রার দিনটি কবে আসবে। এদিন রথযাত্রা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল ধর্মপ্রাণ মানুষদেরকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। রাজ্যের প্রথম রথযাত্রা শুরু হয় শ্রীশ্রী জগন্নাথ বাড়ী মন্দির থেকে। এর আগেও মেলাঘরের রথযাত্রা শুরু হয়, বলে জানান। এবছরের মেলা ঘরের রথযাত্রা সোমবার শুরু হয়। তিনি আরো বলেন ইস্কনের উদ্যোগে সারা বিশ্বজুড়ে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। ভারতের ঐতিহ্য সংস্কৃতি ও পরম্পরাকে মায়া পুরের পাশাপাশি সারা বিশ্বের সামনে তোলে ধরার জন্য তিনি ইস্কনক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান, এর জন্য সকল ভারতবাসীর গর্ববোধ করা উচিৎ বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।
ভগবান জগন্নাথ বলরাম ও শুভদ্রা শুধু মন্দিরেই থাকেন না, রথের বিশেষ দিনে তারা রাস্তায় নেমে এসে ভক্তদের সঙ্গে মিলিত হন। এদিন মন্দিরের সামনে হাজার হাজার মানুষের ভীড় ভগবানের সঙ্গে ভক্তের মিলনের দৃশ্যকেই তোলে ধরছে। তাই তো মানুষ সারা বছর ধরে অপেক্ষা করেন কবে রথের দিন আসবে এবং রথের দড়ি ধরে টেনে ভগবানকে সামনের দিকে নিয়ে যাবেন সেই সঙ্গে নিজেও সামনে এগিয়ে যাবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বর্তমান সরকার সব কা সাথ সবকা বিকাশের মন্ত্রকে মনে রেখে সমাজের সকল অংশের মানুষদের নিয়ে এগিয়ে চলছে। ঈশ্বর ছাড়া কোন কিছু করা সম্ভব নয়, ফলে ঈশ্বরকে সবাইকে মানতে হবে। তাই রাজ্যের বর্তমান সরকার এই দিশাতে কাজ করছে। রথযাত্রার মুহূর্ত একটি শুভক্ষণ, তাই সকল মানুষ তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নতুন সব কাজ এই শুভক্ষণেই করেন। এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার যে স্বপ্ন রয়েছে এই কাজও আগামী দিনে এগিয়ে চলবে সামনের দিকে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নের জয়যাত্রাকে রাজ্যের সকল মানুষদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন রথ যাত্রার পুণ্যদিনে।
 পাশাপাশি এই দিন মুখ্যমন্ত্রী রাজধানীর বড়দোয়ালী এলাকার তালতলা কালী মন্দিরে আয়োজিত রথযাত্রাতেও অংশ নেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ