Advertisement

Responsive Advertisement

ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য সংক্রমণজনিত রোগ নিয়ে পর্যালোচনা সভায় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য দপ্তরকে মিশনমুডে কাজ করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

  ফাইল ছবি 
আগরতলা, ২৩ জুন: ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য দপ্তরকে মিশন মুডে কাজ করতে হবে। ম্যালেরিয়া সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার অভিযান মূলক কর্মসূচি আরও বেশি করে সংঘটিত করতে হবে। আজ সচিবালয়ের ১ নং সভাকক্ষে ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য সংক্রমণজনিত রোগ নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা:) মানিক সাহা একথা বলেন। সভায় রাজ্যে ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য দপ্তর যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রামস্তরে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে এমপিডব্লিউ ও আশাকর্মীদের আরও বেশি করে কাজে লাগাতে হবে। এই বিষয়ে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার উপরও মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
পর্যালোচনা সভায় স্বাস্থ্য সচিব ডা. দেবাশিষ বসু জানান, রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় পাহাড়ি কঠিন ভূখন্ড, গরম ও স্যাতস্যাতে আবহাওয়া রাজ্যে ম্যালেরিয়া রোগের অন্যতম কারণ। স্বাস্থ্য দপ্তর এই সব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই পার্বত্য অঞ্চল সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। ধলাই জেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ঔষুধিযুক্ত মশারি বিতরণ করার কাজ চলছে। মশার বংশ বিস্তার রোধে জলজমাকৃত বিভিন্ন স্থানে মশার লার্ভা খেকো লার্ভিভোরাস মাছ ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন জলাশয়ে ৩৩ হাজার ৬০০টি লার্ভিভোরাস মাছ ছাড়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব জানান, রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকাগুলির জনসাধারণকে ম্যালেরিয়ার কারণ ও প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে নিয়মিত স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি ম্যালেরিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রচারমূলক কর্মসূচী যেমন, মাইক যোগে প্রচার, ম্যালেরিয়ার তথ্য সম্বলিত ফ্লেক্স লাগানো, বাড়ি বাড়ি অভিযান এবং ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ে প্রচারমূলক কর্মসূচী সংঘটিত করা হচ্ছে। ম্যালেরিয়া নির্মূলের উদ্দেশ্যে দপ্তরের উদ্যোগে প্রতিটি জেলা, মহকুমা এবং ব্লক স্তরে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং এনজিওদের নিয়ে নিয়মিত সভা করা হচ্ছে। এছাড়াও জুম চাষিদের নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং কমিউনিটি হেলথ অফিসারদের প্রশিক্ষণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জুম চাষ এলাকাগুলিতে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি রাখার ব্যবস্থাও নেবে দপ্তর। দপ্তরের মাধ্যমে যেসব ঔষধিযুক্ত মশারি বিতরণ করা হচ্ছে সেগুলি সুবিধাভোগীরা সঠিকভাবে ব্যবহার করছে কিনা সেই বিষয়ে নিয়মিত তদারকিও করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সচিব জানান, রাজ্যে অবস্থানরত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যের ম্যালেরিয়া রোগ প্রবণ অঞ্চলগুলি পরিদর্শন করছে। তাদের পর্যবেক্ষণে যেসব বিষয় চিহ্নিত হয়েছে সেগুলি কার্যকর করার বিষয়ে দপ্তর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের যুগ্ম সচিব রাজীব মাঝি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ডা. তনুশ্রী জৈন, স্বাস্থ্য অধিকারের অধিকর্তা ডা. শুভাশিস দেববর্মা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা শুভাশিস দাস, বিভিন্ন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রমুখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ