Advertisement

Responsive Advertisement

ব্যবস্থাকে আরো উন্নততর করা জাতীয় শিক্ষা নীতির অন্যতম লক্ষ্য: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৯ জুন: জাতীয় শিক্ষা নীতি (ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি) বাস্তবায়নের ফলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সকারাত্মক পরিবর্তন আনবে। এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, পরম্পরা পুনরুদ্ধার করবে এবং বিদেশী রাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ভারতে পড়াশুনার প্রতি আরো আকৃষ্ট করবে। জাতীয় শিক্ষা নীতির মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে সত্যিকারের মানুষ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। শুক্রবার আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত ত্রিপুরায় জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়নের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ সাহা বলেন, ভারতের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, পরম্পরাকে সামনে রেখে এই শিক্ষানীতি কার্যকর করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশের মানুষ এর সুফল পাবে। শিক্ষাক্ষেত্রে যুগোপযোগী পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ৩৪ বছর পর দেশে প্রবর্তিত হয়েছে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০। রাজ্যে সরকারী – বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে। আগামীতে রাজ্যে বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। উত্তর জেলায় আরও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। বর্তমানে রাজ্যে আইন বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ধীরে ধীরে ত্রিপুরাতে তৈরি হচ্ছে এডুকেশন হাব। 
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আগামী প্রজন্মের হাতেই রয়েছে দেশ ও বিশ্বের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে জ্ঞান ছাড়া কিছু সম্ভব নয়। আর এই জ্ঞানের বিস্তারে ছাত্রছাত্রীদের দিশা দেখান শিক্ষক শিক্ষিকাগণ। সমস্ত বিষয়ে সঠিক রূপরেখা দেওয়া না গেলে প্রকৃত অর্থে মানুষ তৈরি করা সম্ভব নয়। শুক্রবার রাজধানীর টাউনহলে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত রাজ্যে উচ্চ শিক্ষায় জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় শিক্ষা নীতির টার্গেট রাখা হয়েছে ২০৩০ পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই রাজ্য ও দেশের ছাত্র ছাত্রীগন এর সুফল পেতে পারেন। সারা দেশে এক নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়ার সুযোগ পাবে ছেলেমেয়েরা। অতীতে বিদেশ থেকেও ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনার জন্য ভারতে আসতেন। কিন্তু সময়ের ফেরে দেশের ছেলেমেয়েরা বাইরে পড়াশুনা করতে যায়। এই অবস্থায় পুরনো সম্মানকে ফিরে পাওয়ার জন্য জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যান্য রাজ্যে পর্যায়ক্রমে এই শিক্ষা নীতি কার্যকর করা হচ্ছে। কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, আসাম সহ ইত্যাদি রাজ্যে জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন হয়েছে। আর এদিন থেকে রাজ্যে উচ্চ শিক্ষা স্তরে জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকর করা হলো। বিদ্যালয় স্তরের ক্ষেত্রে আরো কিছুটা সময় লেগে যেতে পারে। 
এদিন এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গঙ্গাপ্রসাদ প্রসেইন, এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সত্যদেও পোদ্দার, শিক্ষা দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী, অধিকর্তা এন সি শর্মা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিগণ। এছাড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও অধ্যক্ষগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ