Advertisement

Responsive Advertisement

সংস্কৃতি আমাদের সবাইকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে : ক্রীড়ামন্ত্রী


আগরতলা, ৭ জুন: আয়তন ও ভৌগোলিক দিক দিয়ে আমাদের দেশ বিশাল হলেও সাংস্কৃতিকভাবে আমরা সবাই একসূত্রে গেঁথে রয়েছি। এখানে নানা ভাষাভাষী অংশের মানুষ বসবাস করলেও সংস্কৃতি আমাদের সবাইকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে। এটাই ভারতবর্ষের বৈশিষ্ট্য। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে সংগীত নাটক একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী অমৃত যুব কলোৎসব ২০২৩-২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় একথা বলেন। তিনি বলেন, মোঘল, ইংরেজরা দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের দেশ শাসন করলেও ভারতবর্ষের চিরাচরিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হারিয়ে যায়নি। এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গোটা বিশ্বের সামনে ভারতকে একটা জায়গায় নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর গত ৭৫ বছরে আমাদের দেশে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বৈভবশালী ভারতের চিত্র গোটা পৃথিবীর সামনে ফুটে উঠছে। আগরতলার বাইরে রাজ্যের অন্যত্র এই ধরনের অনুষ্ঠান করার জন্য তিনি উদ্যোক্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিরাম ভারত কংকর বলেন, আজ এই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি নাটক লেখার উপর যে কর্মশালা শুরু হয়েছে তা বিভিন্ন দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের নাটক লেখায় দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই কর্মশালা এক বলিষ্ঠ ভূমিকা নেবে। স্বাগত ভাষণে সংগীত নাটক একাডেমির সচিব রাজু দাস বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে অমৃত যুব কলোৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। চেন্নাই থেকে এই উৎসবের সূচনা হয়। ভারতবর্ষের বিভিন্ন শহরে এই উৎসবের আয়োজন করার পর আজ থেকে তা আগরতলায় শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে আজ থেকে ৩ দিনব্যাপী নাটক লেখার কর্মশালাও শুরু হয়েছে। এই কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার থেকে দু'জন বিশিষ্ট নাট্যকার এখানে এসেছেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন নর্থ ইস্ট কালচারাল সেন্টার আগরতলার অধিকর্তা হরিনাথ ঝা। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের সদস্য বিদ্যুৎ দেববর্মা। উল্লেখ্য, রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ