আগরতলা, ৪ জুন : মানুষ মানুষেরই জন্য, তা রক্তদানের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়ে আসছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে রক্তের বিকল্প আবিষ্কৃত না হওয়ায় একজন মানুষই তার দান করা রক্তের মাধ্যমে আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচাতে পারেন। তাই রক্তদান হলো সমস্ত দানের উর্ধ্বে। আজ বড়দোয়ালিস্থিত যুবক সংঘ আয়োজিত রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মানব শরীরকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে রক্তের ভূমিকা অপরিহার্য। মানুষের শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, অক্সিজেন ইত্যাদি পরিবহণে রক্তের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। একজন ব্যক্তির দান করা রক্তের মাধ্যমে ৩-৪ জন মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচানো যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যের সরকারি ১২টি ও বেসরকারি ২টি ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের অভাব পরিলক্ষিত হয়। রক্তের এই অভাব দূরীকরণে নির্বাচনের পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যব্যাপী রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। রাজ্য সরকারের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন রাজ্যব্যাপী রক্তদান শিবিরের আয়োজন সংগঠিত করছে। তারজন্য মুখ্যমন্ত্রী সকলকে ধন্যবাদ জানান।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রক্তদানের মতো মহান কাজে সকলকে উদ্বুদ্ধ করতে ক্লাবগুলির অন্যতম ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে ক্লাবগুলি ক্রীড়া ও সংস্কৃতির বিকাশের পাশাপাশি নানাবিধ সামাজিক কাজেও নিজেদেরকে জড়িয়ে রেখেছে। সমাজকে পরিবর্তনের দিশায় নিয়ে যেতেও ক্লাবগুলিকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সমাজে নেশা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুব সমাজকে নেশার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার আহ্বান জানিয়েছে। নেশার বিরুদ্ধে এই লড়াই মোকাবিলা করা রাজ্য সরকারের পক্ষে একা সম্ভব নয়। নেশার বিরুদ্ধে একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ক্লাবগুলিকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন যুবক সংঘের সহসভাপতি ডা. সুশান্ত রায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের কর্পোরেটর অভিজিৎ মল্লিক ও যুবক সংঘের সভাপতি দেবাশিস রায়।
0 মন্তব্যসমূহ