আগরতলা, ২২জুন: সহকর্মী হত্যার দায়ে ইটভাট্টা শ্রমিককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিল আদালত, সেই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার পশ্চিম জেলা ও দায়রা আদালতের মাননীয় বিচারপতি শুভাশীষ শর্মা রায় এই রায় দেন। আসামী বন্ধন ঝরাকে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ এর পার্ট -২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দেন।
মজুরী পেয়ে ইটভাটায় মাইক বাজিয়ে ফুর্তি করছিল জিরানীয়ার জয় ব্রীকস ভাট্টার শ্রমিকরা। এই ঘটনা ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর রাত প্রায় ১১টা নাগাদ। ঐ সময় জন তপনা নামে এক শ্রমিক সহকর্মী বন্ধন ঝরার স্ত্রীকে ধাক্কা দেয়। এই নিয়ে বন্ধন ঝরা জন তপনাকে ডেকে এনে একটি লাঠি দিয়ে একাধিক আঘাত করে। এতে জন তপনা রক্তাক্ত অবস্থায় সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইটভাট্টার অপর কর্মী মিঠুন দাস। সে দেখতে পায় জন তপনা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে ছটফট করছে, পাশেই দাঁড়িয়ে আছে বন্ধন ঝরা এবং তার পাশে পড়ে রয়েছে একটি লাঠি। বন্ধন ঝরা শরীরে রক্তের দাগ রয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ইটভাট্টার ম্যানেজার অটল কর জিরানীয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এদিকে রাতেই মিঠুন দাস এবং অন্যান্যরা মিলে জন তপনাকে প্রথমে জিরানীয়া হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আগরতলার জিবি হাসপাতালে রেফার করে। ১৬ নভেম্বর হাসপাতালেই মৃত্যু হয় জন তপনার। এদিকে অভিযোগ পেয়ে বন্ধন ঝড়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত করে বন্ধন ঝাড়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর রাজু বৈদ্য। আদালতে দীর্ঘ শুনানির পর বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় দেয়। মামলায় মোট ১৫ জন সাক্ষ্য শুনে মাননীয় বিচারপতি এই রায় দিয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবি বিশ্বজিৎ দেব।
0 মন্তব্যসমূহ