আগরতলা, ২১জুন : যোগা প্রাচীন ভারতবর্ষের এক অমূল্য উপহার। যোগা শরীর ও মনকে নিয়ন্ত্রণ করে সুচিন্তার বিকাশ ঘটায়। আজ হাপানিয়া আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী হলে রাজ্যভিত্তিক ৯ম আন্তর্জাতিক যোগা দিবসের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা একথা বলেন। রাজ্যভিত্তিক যোগা দিবসের আয়োজন করা হয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে এবং আয়ুষ মিশন রাজ্য শাখার সহায়তায়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৫ সাল থেকে ২১ জুনকে রাষ্ট্রসংঘ যোগা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই এই দিবসকে গুরুত্ব সহকারে পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যোগা হচ্ছে নিজের জন্য এক যাত্রা। নিজের ও দেশের কল্যাণের জন্য প্রত্যেককেই নিয়ম করে প্রতিদিন যোগাসন করা উচিৎ। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম যোগা সম্পর্কে উদাসীন। মনের সাথে শরীরের একত্রীকরণের মাধ্যমে আত্মবিকাশে যোগা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সাধারণ মানুষ সাগ্রহে গ্রহণ করে। তাই যোগা আজ দেশ ও রাজ্যের তৃণমূলস্ত্রর পর্যন্ত অনুশীলন করা হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে যোগাভ্যাস করলে নিজেকে যেমন সুস্থ রাখা যায় তেমনি কঠিন সময়ে নিজেকে আরও ভালোভাবে বিকশিত করা সম্ভব হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের ব্যস্ততম সময়ের মধ্যেও প্রতিদিন যোগাভ্যাস করেন। তাঁকে দেখেই আমাদের সকলকেই অনুপ্রাণিত হওয়া উচিৎ।
এ বছরের যোগা দিবসের মূল ভাবনা হলো 'বসুধৈব কুটুম্বকমের জন্য যোগা'। রাজ্যভিত্তিক এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের সচিব, অধিকর্তা, বিভিন্নস্তরের আধিকারিক, সিআরপিএফ, বিএসএফ, টিএসআর বাহিনীর জওয়ান, ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া প্রশিক্ষক, এনএসএস, নেহেরু যুব কেন্দ্র, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং স্কাউট এন্ড গাইডসের স্বেচ্ছাসেবকগণ অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, ভারতবর্ষে ব্রিটিশ ও মোঘল শাসনে দেশের ঐতিহ্য অনেকটাই হারিয়ে গেছিল। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকেই দেশের মর্যাদা ও ঐতিহ্যের পুনরুত্থানে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন যোগাভ্যাস করলে শরীর ও মন উভয়ই সুস্থ থাকে। ফলে মানুষের স্বাস্থ্য পরিচর্যার খরচ অনেকটাই হ্রাস পায়। অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী সকলকে যোগাভ্যাসকে দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, বিধায়ক মীনারাণী সরকার, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ, পদ্মশ্রী দীপা কর্মকার। অনুষ্ঠানে আয়ুষ মিশনের ত্রিপুরা রাজ্য শাখার পক্ষ থেকে যোগা দিবসে অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়গুলিকে ১৫টি করে যোগা ম্যাট দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে মুখ্যমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী সহ উপস্থিত সকলে যোগ ব্যায়াম করেন।
0 মন্তব্যসমূহ