আগরতলা, ৬ জুন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে দেশের সর্বাধিক উন্নতি হয়েছে। বিজেপির শাসনের আগে দীর্ঘ বছর কংগ্রেস দেশের শাসন ক্ষমতায় থাকলেও তারা মানুষের জন্য কিছু করতে পারেনি। এই অভিমত বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের কোর্ডিনেটর ঋতুরাজ সিনহার। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর নয় বছরের শাসনকালের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি তা উল্লেখ করেন। মঙ্গলবার বিকেলে আগরতলায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনে তিনি তা বলেন।
দেশের উন্নয়নের ইতিহাস বলতে গিয়ে জানান, প্রাক্তন ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী গরিবি হটাও এর ডাক দিয়ে ছিলেন কিন্তু তিনি তা ব্যাস্তব্যায়িত করতে পারেননি। ঠিক একই ভাবে প্রয়াত ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বলে ছিলেন কেন্দ্রের পাঠানো এক টাকা থেকে মাত্র ১৫পয়সা শুধু সাধারণ মানুষের কাছে যায় আর বাকি ৮৫পয়সা চলে যায় মধ্যস্বত্ব ভোগীদের হাতে। এই বিষয় নিয়ে কথা বললেও তিনি এই পদ্ধতির পরিবর্থন করতে পারেননি। একই ভাবে মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও তার হয়ে পেছন থেকে গোটা কাজ পেছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করতেন সোনিয়া নিজে। তখনও মানুষের জন্য কোন কাজ হয়নি। মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র নয় বছরে গরীব কল্যানে অনেক কাজ করেছেন। এই সময় যে গতিতে সমাজের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষের উন্নতি হয়েছে তা এক কথায় অভূতপূর্ব। এই নয় বছরে ৩কোটি মানুষের জন্য ঘর তৈরী করে দিয়েছেন, ৮০ কোটি মানুষের জন্য বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, এখনো রেশন দিচ্ছেন। বাড়ী বাড়ী বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সাড়ে নয় কোটি মানুষকে বিনামূল্যে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বাড়ী বাড়ী পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। গ্রামে গ্রামে রাস্তা। কারিগরি শিক্ষা ও আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। দেশে সাড়ে আট শতাংশ জনজাতি, তাদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন।
বিশ্বের সব দেশের নেতৃত্ব মোদীর সম্মান জানানোর জন্য উদগ্রীব থাকের। তার সম্মানের সঙ্গে দেশের সম্মানও বাড়ছে তার জন্য। রাশিয়া উক্রেইন যুদ্ধে যখন ভারতের ছাত্রছাত্রীরা সেদেশে আটকে যায় তখন প্রধানমন্ত্রীর এক ফোনের ফলে সিজ ফায়ার হয় এবং নিরাপদে বিদেশে থাকা ছেলে মেয়েরা নিরাপদে দেশে ফিরে আসে। এভাবের দেশের ভেতরে ও বাইরে প্রধানমন্ত্রী মোদী এগিয়ের চলছেন ও দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচাৰ্য, প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত ও প্রদেশ মুখ্য মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী।
0 মন্তব্যসমূহ